ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার Logo বাওড়ে গোসলে নেমে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে Logo কুমারখালীর সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো বন বিভাগ Logo খোকসায় উপজেলা ক্যাম্পাসে বন বিভাগের গেট ভেঙ্গে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু Logo দৌলতপুরে ৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ২ Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গীতিকার ইকবাল কবীর রনজু’র লেখা গান হতে পারে বাংলা সাহিত্যের নিদর্শণ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পাবনার যে সমস্ত গীতিকার গান লিখে চলছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইকবাল কবীর রনজু। পেশায় তিনি একজন কলেজ শিক্ষক পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করেন। অবসরে ব্যস্ত থাকেন লেখা লেখি নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন নিয়েও তিনটি গান লিখেছেন তিনি। এ গান গুলো পরিণত হতে পারে কালজয়ী গানে। এ গান গুলো ন্যাশনাল আর্কাইভস এ সংরক্ষণের জন্য পাঠিয়েছেন তিনি।
বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়ে তিনি লিখেছেন, মুজিব মানে বাংলাদেশ মুজিব মানে অপার অশেষ, মুজিব মানে সূতোয় গাঁথা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, মুজিব মানে স্বাধীনতা লাল সবুজের ভাটির দেশ, মুজিব মানে বিশ্ব বন্ধু গর্বিত এ সোনার দেশ, এ কথা গুলো তার একটি গানের প্রথম চার চরণ।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তার অপর গানের প্রথম চার চরণ -তুমি এই মাটিতেই ঘুমিয়ে আছো কিংবদন্তী পিতা, যে মাটির সঙ্গে তোমার ছিল নিবিড় সখ্যতা, তুমি যাওগো দেখে বুকে আগলে রেখে্‌, মানুষ তোমায় করছে স্মরণ কাঁদে বঙ্গমাতা, তুমি এই মাটিতেই ঘুমিয়ে আছো পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশ্বের একজন বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব তার প্রমান মেলে ইকবাল কবীর রনজুর লেখা গানের চরণ গুলোতে-তুমি গান্ধিজী ম্যান্ডেলা প্রতিচ্ছবি লেনিনের, তুমি হক ভাসানী আর প্রেরণা ক্ষুদিরামের, তুমি মুক্তির বাতিঘর কাটালে অন্ধকার বাংলা মায়ের, তুমি হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ আর খৃষ্টের, গান গুলো সুর করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত শিল্পী বিএইচ সুসান।
প্রচলিত ধারায় লেখা শুরু করলেও তার লেখার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে ব্যতিক্রমি কিছু গান। এর জন্য প্রচুর অধ্যয়ন ও করতে হয়েছে তাকে। আধুনিক বাংলা গানে দু-একটি বাগধারা বা প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার পরিলক্ষিত হলেও ইকবাল কবীর রনজুর লেখা কিছু গানে পনেরো থেকে আঠারোটি পর্যন্ত বাগধারা, প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার করেছেন। পুরো গানই যেন কতগুলো বাগধারা বা
প্রবাদ প্রবচনের সমষ্টি। অন্তমিল, ছন্দমিলও রাখতে হয়েছে তাকে।
এক একটি গানে পনেরো ষোলটি প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার করতে পারাটা সত্যিই অবাক ব্যাপার। বাগধারা ব্যবহার করে লেখা তার একটি গানের প্রথম চার চরণ এমন- দুধে ভাতে আছো তুমি তোমার চাঁদের হাটে, আমার এখন অকুল পাথার কষ্টে যে দিন কাটে, তোমার চোখের মনি থেকে চোখের বালি হলাম, অষ্টরম্ভা আমায় দিয়ে তুমি কাটাচ্ছ বেশ বটে, বাগধারা ব্যবহার করে লেখা তার অপর একটি গানের প্রথম চার চরণ এমন-আমার কাছে তুমি ঈদের চাঁদ, আট কপালে এই আমাকে দিলেনাতো মন, অমৃতে অরুচী তোমার চাইছোনা মুখ তুলে, একি আমার ললাটের লিখন, প্রবাদ প্রবচন ব্যবহার করে লেখা একটি গানের প্রথম চার চরণ-না বুঝে হাতের লক্ষী পায়ে ঠেলো না, গোড়া কেটে আগায় তুমি পানি ঢেলো না, অপর একটি গানের প্রথম চরণ গুলো-আমার মতো বোকার ফসল যদি পোকায় খায়, আমি কি করে করবো পাশ অগ্নি পরীক্ষায়, আমি নাকি সরকারে খাই মসজিদে ঘুমাই, জ্বলছি আর জ্বলবো কতো রাবণের চিতায়, এ গান গুলো ছাড়াও প্রেম, বিরহ, মানবিকতা, আধ্যাত্মিক, দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতিসহ প্রায় চার শতাধিক গান লিখেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকা ভূক্ত এই গীতিকার ইকবাল কবীর রনজু। বাংলাদেশের পাবনার চাটমোহরের দোলং গ্রামে তার বসবাস।
চাটমোহর উপজেলাধীন মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। গান গুলো প্রসঙ্গে ইকবাল কবীর রনজু জানান, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জীবন দর্শন ও মানবতাবাদ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌছাতে তাকে নিয়ে তিনটি গান লিখেছি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও গন্থাগার অধিদপ্তরের আরকাইভসে সংরক্ষণের জন্য গান গুলো পাঠানো হলেও এখনও কোথাও থেকে কোন সাড়া পাই নি। দেশ,বিদেশের নামি দামি শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ ও নেই আমার। যারা গান গুলো শুনেছেন তারা সবাই বলছেন গান গুলো ভাল হয়েছে।

এ গান গুলো ধারণ করে ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে তা অমর, কালজয়ী গানেও পরিণত হতে পারে। এ গান শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনকে আরো বেশি বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “বাগধারা ও প্রবাদ প্রবচন বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে। বাংলা গানে দু একটি বাগধারার ব্যবহার পরিলক্ষিত হলেও আমি এক একটি গানে পনেরো থেকে বিশটি বাগধারা/প্রবাদ প্রবচন ব্যবহার করেছি। আমার বিশ্বাস বাংলা গানের ইতিহাসে অন্য কোন গীতিকার এতো অধিক সংখ্যক বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন ব্যবহার করেন নি তাদের গানে।
সে ক্ষেত্রে আমার লেখা গান গুলো হতে পারে বাংলা সাহিত্যের অমূল্য নিদর্শন।”

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক

error: Content is protected !!

গীতিকার ইকবাল কবীর রনজু’র লেখা গান হতে পারে বাংলা সাহিত্যের নিদর্শণ

আপডেট টাইম : ০৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পাবনার যে সমস্ত গীতিকার গান লিখে চলছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইকবাল কবীর রনজু। পেশায় তিনি একজন কলেজ শিক্ষক পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করেন। অবসরে ব্যস্ত থাকেন লেখা লেখি নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন নিয়েও তিনটি গান লিখেছেন তিনি। এ গান গুলো পরিণত হতে পারে কালজয়ী গানে। এ গান গুলো ন্যাশনাল আর্কাইভস এ সংরক্ষণের জন্য পাঠিয়েছেন তিনি।
বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়ে তিনি লিখেছেন, মুজিব মানে বাংলাদেশ মুজিব মানে অপার অশেষ, মুজিব মানে সূতোয় গাঁথা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, মুজিব মানে স্বাধীনতা লাল সবুজের ভাটির দেশ, মুজিব মানে বিশ্ব বন্ধু গর্বিত এ সোনার দেশ, এ কথা গুলো তার একটি গানের প্রথম চার চরণ।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তার অপর গানের প্রথম চার চরণ -তুমি এই মাটিতেই ঘুমিয়ে আছো কিংবদন্তী পিতা, যে মাটির সঙ্গে তোমার ছিল নিবিড় সখ্যতা, তুমি যাওগো দেখে বুকে আগলে রেখে্‌, মানুষ তোমায় করছে স্মরণ কাঁদে বঙ্গমাতা, তুমি এই মাটিতেই ঘুমিয়ে আছো পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশ্বের একজন বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব তার প্রমান মেলে ইকবাল কবীর রনজুর লেখা গানের চরণ গুলোতে-তুমি গান্ধিজী ম্যান্ডেলা প্রতিচ্ছবি লেনিনের, তুমি হক ভাসানী আর প্রেরণা ক্ষুদিরামের, তুমি মুক্তির বাতিঘর কাটালে অন্ধকার বাংলা মায়ের, তুমি হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ আর খৃষ্টের, গান গুলো সুর করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত শিল্পী বিএইচ সুসান।
প্রচলিত ধারায় লেখা শুরু করলেও তার লেখার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে ব্যতিক্রমি কিছু গান। এর জন্য প্রচুর অধ্যয়ন ও করতে হয়েছে তাকে। আধুনিক বাংলা গানে দু-একটি বাগধারা বা প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার পরিলক্ষিত হলেও ইকবাল কবীর রনজুর লেখা কিছু গানে পনেরো থেকে আঠারোটি পর্যন্ত বাগধারা, প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার করেছেন। পুরো গানই যেন কতগুলো বাগধারা বা
প্রবাদ প্রবচনের সমষ্টি। অন্তমিল, ছন্দমিলও রাখতে হয়েছে তাকে।
এক একটি গানে পনেরো ষোলটি প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার করতে পারাটা সত্যিই অবাক ব্যাপার। বাগধারা ব্যবহার করে লেখা তার একটি গানের প্রথম চার চরণ এমন- দুধে ভাতে আছো তুমি তোমার চাঁদের হাটে, আমার এখন অকুল পাথার কষ্টে যে দিন কাটে, তোমার চোখের মনি থেকে চোখের বালি হলাম, অষ্টরম্ভা আমায় দিয়ে তুমি কাটাচ্ছ বেশ বটে, বাগধারা ব্যবহার করে লেখা তার অপর একটি গানের প্রথম চার চরণ এমন-আমার কাছে তুমি ঈদের চাঁদ, আট কপালে এই আমাকে দিলেনাতো মন, অমৃতে অরুচী তোমার চাইছোনা মুখ তুলে, একি আমার ললাটের লিখন, প্রবাদ প্রবচন ব্যবহার করে লেখা একটি গানের প্রথম চার চরণ-না বুঝে হাতের লক্ষী পায়ে ঠেলো না, গোড়া কেটে আগায় তুমি পানি ঢেলো না, অপর একটি গানের প্রথম চরণ গুলো-আমার মতো বোকার ফসল যদি পোকায় খায়, আমি কি করে করবো পাশ অগ্নি পরীক্ষায়, আমি নাকি সরকারে খাই মসজিদে ঘুমাই, জ্বলছি আর জ্বলবো কতো রাবণের চিতায়, এ গান গুলো ছাড়াও প্রেম, বিরহ, মানবিকতা, আধ্যাত্মিক, দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতিসহ প্রায় চার শতাধিক গান লিখেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকা ভূক্ত এই গীতিকার ইকবাল কবীর রনজু। বাংলাদেশের পাবনার চাটমোহরের দোলং গ্রামে তার বসবাস।
চাটমোহর উপজেলাধীন মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। গান গুলো প্রসঙ্গে ইকবাল কবীর রনজু জানান, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জীবন দর্শন ও মানবতাবাদ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌছাতে তাকে নিয়ে তিনটি গান লিখেছি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও গন্থাগার অধিদপ্তরের আরকাইভসে সংরক্ষণের জন্য গান গুলো পাঠানো হলেও এখনও কোথাও থেকে কোন সাড়া পাই নি। দেশ,বিদেশের নামি দামি শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ ও নেই আমার। যারা গান গুলো শুনেছেন তারা সবাই বলছেন গান গুলো ভাল হয়েছে।

এ গান গুলো ধারণ করে ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে তা অমর, কালজয়ী গানেও পরিণত হতে পারে। এ গান শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনকে আরো বেশি বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “বাগধারা ও প্রবাদ প্রবচন বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে। বাংলা গানে দু একটি বাগধারার ব্যবহার পরিলক্ষিত হলেও আমি এক একটি গানে পনেরো থেকে বিশটি বাগধারা/প্রবাদ প্রবচন ব্যবহার করেছি। আমার বিশ্বাস বাংলা গানের ইতিহাসে অন্য কোন গীতিকার এতো অধিক সংখ্যক বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন ব্যবহার করেন নি তাদের গানে।
সে ক্ষেত্রে আমার লেখা গান গুলো হতে পারে বাংলা সাহিত্যের অমূল্য নিদর্শন।”