ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ক্ষেতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গোবিন্দ বিশ্বাস (৩৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রবিবার (২২ আগস্ট) নিহত ওই যুবকের ভাই বিধান বিশ্বাস ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- মাখন লাল মন্ডল, সনাতন মন্ডল, রুপালি মন্ডল ও ধলি মন্ডল। সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আটককৃতদের ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের ঘিদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোবিন্দ বিশ্বাস ওই গ্রামের আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে। এছাড়া অভিযুক্তরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকালে অভিযুক্ত নিখিল মন্ডলের গরু গোবিন্দ বিশ্বাসের ধানক্ষেতে গিয়ে ধান খায়। এতে গোবিন্দ বিশ্বাসের বড় বোনের স্বামী বিপুল মন্ডল গরুটি ধানক্ষেত থেকে নিয়ে আসতে গেলে নিখিল মন্ডলের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ও তাকে মারধর করে। এই দেখে বিপুল মন্ডলের স্ত্রী স্বপ্না মন্ডল ঠেকাতে গেলে অভিযুক্তরা তাকেও মারধর ও শীলতাহানী করে। এসব খবর শুনতে পেয়ে স্বপ্না বিশ্বাসের ভাই গোবিন্দ বিশ্বাস, তার দুই আপন ভাতিজা তন্ময় বিশ্বাস ও সজিব বিশ্বাস এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরও মারধর করে। তবে এদের মধ্যে গোবিন্দ বিশ্বাসের মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
পরে স্থানীয়রা গোবিন্দ বিশ্বাস ও তার ভাতিজাদের উদ্ধার করে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে গোবিন্দ বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ওইদিনই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখানে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৩টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক গোবিন্দ বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
প্রিন্ট