ফরিদপুরের বোয়ালমারীর রাখালতলী গ্রামে অহিদুল ফকিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। প্রতিবেশী প্রায় ৬০টি পরিবার তার নানাবিধ অত্যাচারে টিকতে না পেরে বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের কৃষকদের কৃষি কাজে মাঠে যাবার একমাত্র হালোট পথ নিজের জমির অংশ দাবি করে অহিদুল পথটি বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এতে এলাকার সাধারণ কৃষকরা পরেছে চরম বিপাকে। মাঠটিতে উৎপাদিত ধান,পাট, রবি শস্য ও চাষাবাদের জন্য গরু, লঙ্গল-জোয়াল বা পাওয়ার ট্রিলার নেওয়ার আর কোন পথ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামের কৃষকরা। সেই সাথে রাস্তাটির পাশে কয়েকটি বাড়ির লোকজনও পরেছে বিপাকে।বিপাকে পড়া চুন্নু মিয়া নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথও বন্ধ করে দিয়েছে অহিদুল। এ বিষয়ে চুন্নু মিয়া অহিদুলের সাথে কথা বলতে গেলে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে চড়াও হয় সে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ চুন্নু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে নানা পদ অত্যাচার। চুন্ন মিয়ার বাড়ির দরজার সামনে মলত্যাগসহ দূর্গন্ধযুক্ত গবোরের বিষ্ঠা স্তপ আকারে ফেল পরিবেশ দূষণসহ হুমকি ধামকী যাচ্ছে অহিদুল।একই সাথে আরেক প্রতিবেশী আশরাফ শেখের বাড়ির পাশে অহিদুলের নিজ জায়গায় দুর্গন্ধযুক্ত গবরের বিষ্ঠা ফেলে সেখানেও পরিবশে দূষণ করছে সে। এসব স্থানে বর্ষার পানিতে গবর পচে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়ানোসহ মশা-মাছি জন্মে মারাত্মক রোগ ব্যধি ছড়াচ্ছে এবং আশপাশের বাড়িগুলো বাসবাসের অনপোযোগী হয়ে উঠেছে। এসব বিষয় স্থানীয়রা তার সাথে কথা বলতে গেলে অহিদুল বাইরে থেকে ভাড়াটিয়া মাস্তান এনে গ্রামবাসীদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।একই সাথে নিজেই নানা অঘটন ঘটিয়ে প্রতিবেশিদের নামে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে দীর্ঘ দিন ধরে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রতিবেশী জালাল ফকির অহিদুলের নিকট থেকে ঋণ নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারায় জালাল ফকিরের স্ত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে আটক করে রাখে অহিদুল।স্থানীয়রা জানায়, জালাল ফকিরের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করায় তাকে পরবর্তীতে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সে। বিয়ের পর অহিদুলের নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তালাক নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় জালাল ফকিরের সেই স্ত্রী।এব্যাপারে বোয়ালমারীতে থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আগামীর প্রত্যাশা পত্রিকায় বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । ২০০৮ সালে অহিদুলের অত্যাচারে এলাকাবাসী বেশ কয় একটি অভিযোগ তুলে বোয়ালমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেশিদের ঘায়েল করতে নিজ সন্তানের গায়ে কিরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশি কয় একজন মহিলা সে চেষ্টা ব্যার্থ করে দিলে তবিবর ফকিরের খাসি চুরি করে প্রতিবেশিদের নামে মামলাদায়েরর ফন্দি আটে। সেবারও প্রতিবেশিদের হাতে ধরা পরে সে। এরপর নিজের পিতার গৃহপালিত একঝাক মুরগি ভাতের সাথে বিষ মাখিয়ে মেরে ফেলে প্রতিবেশিদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। সেবারও বিষয়টি জানা জানি হয়ে যায়। এছাড়াও স্থানীয় যুবতী নারীদের উত্যাক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে বলে নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক একাধিক যুবতী নারী জানান।বিষয়টি সত্যতা যাচাই করতে অহিদুল ফকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রতিবারই সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজের পরিচয় অস্বীকার করে সে। অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র মুজুমদার জানান, গ্রামবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। অহিদুল ফকির অসুুস্থ্য থাকায় সে ১ সপ্তাহ সময় নিয়েছে।
প্রিন্ট