ভেড়ামারা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭দিন যাবৎ প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও হিসটাসিন ট্যাবলেট সংকট দেখা দিয়েছে।
১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃ বিভাগে কাউন্টারে স্লীপ নিয়ে গিয়ে রুগীরা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কাউন্টার থেকে তাদের কে বলা হচ্ছে ওষুধ এখানে সাপ্লাই নেই। বাহির থেকে কিনে খাবেন। আসলে আবার পাবেন।
গত পনের দিন হলো জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন ভেড়ামারার ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ। এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সীরা।
হঠাৎ জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় প্যারাসিটামল ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে এই উপজেলায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, জীবন রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্যারাসিটামল বর্তমান চাহিদার তুলনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ একেবারেই অপ্রতুল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর-সর্দি-মাথাব্যথা ও কাশির জন্য এসব ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে খেটে খাওয়া গরীব দিন মজুর। ভোক্তভুগি রুগীরা বলছে লকডাউনের গ্যাঁরা কলে ইনকাম নেই।বাহিরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া কঠিন।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, বেশকিচ্ছু দিন হলো জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার রুগী সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বগুড়ায় চাহিতা পত্র পাঠানো হয়েছে কিচ্ছুদিনের মধ্যে ওষুধ চলে আসবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘প্যারাসিটাল জাতীয় ওষুধের কোন রকম ঘাটতি হওয়ার কথা না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। বিশেষ করে গরীব দুঃখীদের যেন কষ্ট না হয়।
প্রিন্ট