ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রবাসে বসে স্বদেশীর সেবায় মিলন

সুদূর প্রবাসে বসেই এলাকার এক অসহায় প্রতিবন্ধীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ময়না ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, সৌদী প্রবাসী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: আশরাফুজ্জামান মিলন।
বুধবার (১১.০৮.২০২১) সকালে তার প্রতিনিধি মো: জুয়েল রানার মাধ্যমে বান্দুগ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী, এক সময়ের ইটভাটা শ্রমিক কাজী মনিরুল ইসলামকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন মিলন।

দীর্ঘ দিন নিজ এলাকা তথা ময়না ইউনিয়নের মাটি ও মানবতার সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া আশরাফুজ্জামান মিলন মুঠোফোনে বলেন, ফেসবুকের সুবাদে মনিরুলের অসহায়ত্বের খবর জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিক তাকে সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেই। লোকমাধ্যমে সেটি বাস্তবায়ন করলাম।

আশারাখি অচিরেই দেশে ফিরে মনিরুলের চিকিৎসার জন্য কিছু একটা করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ যেনো ৩৫ বছরের টগবগে যুবক মনিরুলের জীবনের সব অসহায়ত্ব দূর করে দেন।

উল্লেখ্য গ্রামের দরিদ্র ইটভাটা শ্রমিক কাজী কাশেম আলীর পুত্র মনিরুল ইসলাম এক সময় ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। কাজ করতেন পার্শ্ববর্তী শ্যামল সাহার ইটভাটায়। হঠাৎ একদিন অমানিশা নেমে আসে যৌবনদীপ্ত যুবক মনিরুলের জীবনে। কাজ করার সময় ইটের স্তুপ ধ্বসে পড়ে তার উপর। সঙ্গে-সঙ্গে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায় মনিরুলের কোমর থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত। সে সময় মনিরুলের চিকিৎসায় বেশ কিছু টাকা ব্যয় করেছিলেন ভাটা মালিক।

পরিবারও সহায়-সম্বল বিলিয়ে দেয় মনিরুলের জন্য। কিন্তু সীমিত সাধ্যের চিকিৎসায় স্বাভাবিকতা আর ফিরে আসেনি মনিরুলের জীবনে। চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় সে। বুকের নিচ থেকে দেহের পুরোটা অংশই এখন বিকল-অবস। পা দু’টি শুকিয়ে মরা বাঁশের কুঞ্চি সাদৃশ হয়ে গেছে। এভাবে প্রায় ৬ বছর হলো বিছানাবন্দী হয়ে পড়ে আছেন যৌবনোজ্জ্বল যুবক মনিরুল। তবে উচ্চতর চিকিৎসা পেলে মনিরুলের সুস্থতা লাভের সম্ভবনা এখনো আছে বলে জানালেন তার বাবা কাশেম আলী।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

প্রবাসে বসে স্বদেশীর সেবায় মিলন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অগাস্ট ২০২১
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: :

সুদূর প্রবাসে বসেই এলাকার এক অসহায় প্রতিবন্ধীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ময়না ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, সৌদী প্রবাসী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: আশরাফুজ্জামান মিলন।
বুধবার (১১.০৮.২০২১) সকালে তার প্রতিনিধি মো: জুয়েল রানার মাধ্যমে বান্দুগ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী, এক সময়ের ইটভাটা শ্রমিক কাজী মনিরুল ইসলামকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন মিলন।

দীর্ঘ দিন নিজ এলাকা তথা ময়না ইউনিয়নের মাটি ও মানবতার সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া আশরাফুজ্জামান মিলন মুঠোফোনে বলেন, ফেসবুকের সুবাদে মনিরুলের অসহায়ত্বের খবর জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিক তাকে সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেই। লোকমাধ্যমে সেটি বাস্তবায়ন করলাম।

আশারাখি অচিরেই দেশে ফিরে মনিরুলের চিকিৎসার জন্য কিছু একটা করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ যেনো ৩৫ বছরের টগবগে যুবক মনিরুলের জীবনের সব অসহায়ত্ব দূর করে দেন।

উল্লেখ্য গ্রামের দরিদ্র ইটভাটা শ্রমিক কাজী কাশেম আলীর পুত্র মনিরুল ইসলাম এক সময় ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। কাজ করতেন পার্শ্ববর্তী শ্যামল সাহার ইটভাটায়। হঠাৎ একদিন অমানিশা নেমে আসে যৌবনদীপ্ত যুবক মনিরুলের জীবনে। কাজ করার সময় ইটের স্তুপ ধ্বসে পড়ে তার উপর। সঙ্গে-সঙ্গে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায় মনিরুলের কোমর থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত। সে সময় মনিরুলের চিকিৎসায় বেশ কিছু টাকা ব্যয় করেছিলেন ভাটা মালিক।

পরিবারও সহায়-সম্বল বিলিয়ে দেয় মনিরুলের জন্য। কিন্তু সীমিত সাধ্যের চিকিৎসায় স্বাভাবিকতা আর ফিরে আসেনি মনিরুলের জীবনে। চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় সে। বুকের নিচ থেকে দেহের পুরোটা অংশই এখন বিকল-অবস। পা দু’টি শুকিয়ে মরা বাঁশের কুঞ্চি সাদৃশ হয়ে গেছে। এভাবে প্রায় ৬ বছর হলো বিছানাবন্দী হয়ে পড়ে আছেন যৌবনোজ্জ্বল যুবক মনিরুল। তবে উচ্চতর চিকিৎসা পেলে মনিরুলের সুস্থতা লাভের সম্ভবনা এখনো আছে বলে জানালেন তার বাবা কাশেম আলী।


প্রিন্ট