চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধু। সারা শরীরে ব্লেডের আঘাতের চিহ্ন নিয়ে হাসপাতালের বেডে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে ওই গৃহবধু।
ঘটনাটি ঘটেছে, নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের চন্দনা দিঘীপাড়ায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রতিবেশীদের সহায়তা মঙ্গলবার রাতে রহনপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মামা শশুড় কামরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ওই পাড়ার তার ভাগ্নে মাইনুল ইসলামের ছেলে আব্দুল করিমের (২৭) সাথে প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয় ভোলার লালমোহন উপজেলার চরহুদা গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে আরজু খাতুনের (২৫)। তারা দুজনেই গার্মেন্টসকর্মী। ঢাকায় কর্মস্থলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা বিয়ে করে। তাদের কোন সন্তান নেই।গত রোজার ঈদে প্রথমবারের মতো স্বামী আব্দুল করিম তাকে দেশের বাড়ি চন্দনায় ঈদ করতে নিয়ে আসে।
ঈদের কয়েকদিন যেতে না যেতেই স্বামী আঃ করিম তার কাছে ২লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু দাবিকৃত অর্থ দিতে না পারায় তার উপর শুরু হয় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নির্মম নির্যাতন। নির্যাতনে একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা তার মামা শশুড়কে খবর দিলে তিনি তাকে তার বাসায় নিয়ে আসে।
পরে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশী সহায়তা চাওয়া হলে রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমার স্বামী,দেবর, শাশুড়ি ও শ্বশুর আমাকে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। তারপর হাত পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিদ্র করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধু।
প্রিন্ট