বকুল দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে। তিনি পেশায় আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জেলায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তরিকুল বারী বকুলের মা আছিয়া খাতুন জানান, গত ৭ দিন আগে তার ছেলে বকুল জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বরের সাথে মাথা এবং শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে বকুল ওষুধ সেবন করতে থাকেন। কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৮ আগস্ট ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য সোমবার (৯ আগস্ট) কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পুনরায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করলে সেখানেও তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আতিক রব্বানী জানান, সোমবার দুপুর ৩টা ১০ মিনিটের সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত তরিকুল বারী বকুলকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করার পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রাও কমে গেছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনার মতো ডেঙ্গু রোগ যেন জেলায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। কুষ্টিয়া পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
প্রিন্ট