ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করে পাঁচ বছর যাবত শয্যাশায়ী দরিদ্র এক যুবকের পাশে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। সোমবার সন্ধ্যায় শয্যাশায়ী ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে মো. তারিকুল ইসলাম নামের ওই গণমাধ্যমকর্মী এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা তমাল বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রামের কাজী আবুল হোসেনের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে মনিরুল কাজী (৩২) বছর পাঁচেক আগে দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেন। ষাটোর্ধ আবুল হোসেন বয়সের কারণে এখন আর কোন কাজ করতে পারেন না। একমাত্র ছেলে স্থানীয় একটি ইটের ভাটায় কাজ করত। দুর্ঘটনায় মনিরের কোমরের ও হাতের হাড় ভেঙে যায়; যা অনেক চিকিৎসার পরও ঠিক হয়নি।
এ অবস্থায় অসহায় মনিরুলের পাশ থেকে সটকে পড়েন সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রীও। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বৃদ্ধ ও অসুস্থ পিতা এখন নিঃস্ব। দু’বেলা দুমুঠো ভাত যোগাড় করতেই এখন হিমসিম অবস্থা।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মো. তারিকুল ইসলাম সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মনিরুলের বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল এক বস্তা চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, মসলা ইত্যাদি।
মো. তারিকুল ইসলাম ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার।
এদিকে একই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা তমালও কর্মহীন, হতদরিদ্র ও অসুস্থ মনিরুলের বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন। তমালের দেয়া খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল এক বস্তা চাল, ডাল, তেল, লবণ ইত্যাদি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ প্রিন্স, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান মনির, হাসানুজ্জামান লিপন, সবুজ, ফারুক বিশ্বাস, ইমরান প্রামাণিক, আশিক মোল্যা, সোহেল মোল্যা প্রমুখ।
উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা তমাল যায়যায়দিনকে বলেন, মনিরুল কাজীর চিকিৎসাসহ তার পরিবারকে সাধ্যমত সহযোগিতা করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। গণমাধ্যমকর্মী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, অসহায়দের প্রতি আমার এরূপ মানবিক সহায়তা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।
প্রিন্ট