ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জহুরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক এবং দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামের মৃত পলান মন্ডলের ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই আহাদ আলী নয়ন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় অপমৃত্য মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সাথে তার স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন ওরফে তাপুর পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আজ দুপুরে সে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ির লোকজন জানতে পেরে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। পরে প্রতিবেশীরা জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।

তবে নিহতের ভাই ও মামলার বাদি আহাদ আলী নয়নসহ পরিবারের দাবি জহুরুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে, লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত জানা যাবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জহুরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক এবং দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামের মৃত পলান মন্ডলের ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই আহাদ আলী নয়ন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় অপমৃত্য মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সাথে তার স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন ওরফে তাপুর পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আজ দুপুরে সে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ির লোকজন জানতে পেরে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। পরে প্রতিবেশীরা জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।

তবে নিহতের ভাই ও মামলার বাদি আহাদ আলী নয়নসহ পরিবারের দাবি জহুরুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে, লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত জানা যাবে।


প্রিন্ট