মোঃ গোলাম রাব্বীঃ
রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার আলদাদপুর গ্রামে সম্প্রতি সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক রায়হান সিরাজী।
গতকাল বিকেলে তিনি সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, লুটপাট, ও শারীরিকভাবে নিপীড়নের ঘটনার বর্ণনা শুনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং গভীর উদ্বেগ জানান।
পরিদর্শনের সময় অধ্যাপক রায়হান বলেন,“এই হামলা শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো মানবতাবোধের ওপর আঘাত। আমরা সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাসী। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকার ও প্রশাসনকে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই পরিবারের পাশে মানবিকভাবে দাঁড়াতে প্রস্তুত আছি। ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক মতপার্থক্য যা-ই থাকুক, বিপদে পাশে দাঁড়ানোই মানবতা।”
পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় জামায়াত ও ইসলামিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকার কর্মী এবং সংবাদকর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অধ্যাপক রায়হানের সহানুভূতি ও পাশে থাকার আশ্বাসে কিছুটা আশ্বস্ত হন।
আলদাদপুরের বাসিন্দা দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। কেউ পাশে দাঁড়ায়নি, আজ একজন রাজনীতিবিদ আমাদের দুঃখের কথা শুনতে এসেছেন, এটা অনেক বড় সান্ত্বনা।”
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নিরাপত্তা ও সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলেছেন, সকল রাজনৈতিক দলের উচিত—মানবিক ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্য না দেখানো।
অধ্যাপক রায়হান সিরাজীর এই উদ্যোগ জনমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা চলছে।
প্রিন্ট