মোঃ গোলাম রাব্বীঃ
রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবার নানা অস্থিরতার মুখোমুখি হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি কিছুটা ভাঙচুর ও ক্ষতির শিকার হয়। সেই প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে গংগাচড়া উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মাহমুদ হাসান মৃধা ঘটনাস্থলে নিজে উপস্থিত থেকে ঘর মেরামতের কাজ তদারকি করছেন, যা স্থানীয়দের কাছে প্রশাসনের মানবিক ও দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর নেতৃত্বে ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ এখন জোরেশোরে চলছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত ফিরে আসতে পারে।
এছাড়াও, ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, অপরাধীদের কোনোরূপ ছাড় দেওয়া হবে না এবং তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
অন্যদিকে, এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। এনসিপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন এবং উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁদের এই উদ্যোগের ফলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় জনগণ বলেন, “যেখানে অনেকে এড়িয়ে যায়, সেখানে ইউএনও স্যার ও এনসিপির নেতারা মিলে সাহসিকতার সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন। এটা আমাদের ভরসা দিয়েছে।”
এনসিপি নেতাদের প্রশংসা করে আরও বলা হয়, “এভাবেই যদি প্রতিটি রাজনৈতিক দল জনগণের পাশে থেকে কাজ করে, তবে দেশে সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।”
এলাকাবাসী, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গংগাচড়ার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রিত। প্রশাসন আশাবাদ ব্যক্ত করছে, ভবিষ্যতেও কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্য বা হামলার ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট