সাজেদুর রহমানঃ
লাগাতার বর্ষায় ও ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়লী বিল এলাকা। এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ৫০০ একর ফসলি জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুর সহ ৮ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এবছর ভারতীয় পানি এ এলাকায় আসার কারনে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ইরি বোরো মৌসুমে চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ইছামতি নদী হতে প্রবাহিত খালেরমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিলো। যা পরবর্তীতে আর বেঁধে দেয়া হয়নি ফলে চলিেত মৌসুমে ভারতীয় পানি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। ভারতীয় এ পানিতে বাংলাদেশে ফসলের ব্যাপোক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় ইছামতি নদী সংলগ্ন খালের বাঁধ কেটে রাখার কারনে বৃষ্টির পানির সাথে ভারতীয় ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ করায় তার এক বিঘা জমির পাট পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পাটের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসব পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।
কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার আল আমিন জানিয়েছেন, এবছর আগাম বর্ষনের কারনে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মত আমনের বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মত আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মত পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমন ফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ার কারনে ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মত জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রিন্ট