ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হাতিয়ায় আকবর হোসেন স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে রূপগঞ্জে বিক্ষোভ Logo তানোরে ওসি আফজালের নেতৃত্বে সফল অভিযান, মাত্র ৩৪ ঘণ্টার মধ্যে চোরাই ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার, চোর গ্রেপ্তার Logo চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বেনাপোল বন্দরের ৬০ জন আনসার সদস্যকে বদলী Logo লন্ডনে গবেষণা স্মারক কালের অভিজ্ঞানের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত Logo নিখোঁজ কন্যাকে ফিরে পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করছে ভুক্তভোগী পরিবার Logo বাঘায় ক্লাস বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়কে মানববন্ধন Logo নড়াইলে দোকানঘর পোড়ানোর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ‌ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরের ‌ ৪৯ তম ‌ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজাপুরে শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ মাদ্রসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

লাগাতার বর্ষন ও ভারতের ইছামতি নদীর পানি

শার্শার ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলে ৫০০ একর জমি পানির নিচে

সাজেদুর রহমানঃ

 

লাগাতার বর্ষায় ও ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়লী বিল এলাকা। এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ৫০০ একর ফসলি জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুর সহ ৮ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এবছর ভারতীয় পানি এ এলাকায় আসার কারনে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

 

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ইরি বোরো মৌসুমে চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ইছামতি নদী হতে প্রবাহিত খালেরমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিলো। যা পরবর্তীতে আর বেঁধে দেয়া হয়নি ফলে চলিেত মৌসুমে ভারতীয় পানি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। ভারতীয় এ পানিতে বাংলাদেশে ফসলের ব্যাপোক ক্ষতি হয়েছে।

 

কৃষক জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় ইছামতি নদী সংলগ্ন খালের বাঁধ কেটে রাখার কারনে বৃষ্টির পানির সাথে ভারতীয় ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ করায় তার এক বিঘা জমির পাট পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পাটের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসব পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।

 

কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার আল আমিন জানিয়েছেন, এবছর আগাম বর্ষনের কারনে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মত আমনের বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মত আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মত পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমন ফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ার কারনে ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মত জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হাতিয়ায় আকবর হোসেন স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

লাগাতার বর্ষন ও ভারতের ইছামতি নদীর পানি

শার্শার ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলে ৫০০ একর জমি পানির নিচে

আপডেট টাইম : ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সাজেদুর রহমান, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি :

সাজেদুর রহমানঃ

 

লাগাতার বর্ষায় ও ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়লী বিল এলাকা। এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ৫০০ একর ফসলি জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুর সহ ৮ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এবছর ভারতীয় পানি এ এলাকায় আসার কারনে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

 

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ইরি বোরো মৌসুমে চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ইছামতি নদী হতে প্রবাহিত খালেরমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিলো। যা পরবর্তীতে আর বেঁধে দেয়া হয়নি ফলে চলিেত মৌসুমে ভারতীয় পানি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। ভারতীয় এ পানিতে বাংলাদেশে ফসলের ব্যাপোক ক্ষতি হয়েছে।

 

কৃষক জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় ইছামতি নদী সংলগ্ন খালের বাঁধ কেটে রাখার কারনে বৃষ্টির পানির সাথে ভারতীয় ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ করায় তার এক বিঘা জমির পাট পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পাটের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসব পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।

 

কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার আল আমিন জানিয়েছেন, এবছর আগাম বর্ষনের কারনে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মত আমনের বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মত আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মত পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমন ফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ার কারনে ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মত জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রিন্ট