রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় যৌতুকের কারণে নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে হাফিজা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সেলিম রেজা অরফে বাবু প্রামানিক (২৫) নামের একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ধৃত আসামী বাবু প্রামানিক পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির চর লক্ষèীপুর গ্রামের আরশেদ প্রামানিকের ছেলে। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার রাতে চর লক্ষèীপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূ হাফিজা খাতুনকে যৌতুকের কারণে নির্যাতন ও পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর গলায় ওড়না দিয়ে বসতঘরের বারান্দায় বাঁশের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়েছে বলে স্বামী সাবু প্রামানিক প্রচার করে।
নিহত হাফিজা খাতুন চর লক্ষèীপুর গ্রামের সাবু প্রামানিকের স্ত্রী। প্রায় চার বছর আগে সাবু প্রামানিকের সাথে একই উপজেলার হাবাসপুর ইউপির কাচারীপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান প্রামানিকের মেয়ে হাফিজা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছর ছয় মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত হাফিজা খাতুনের ভাই মাহাবুবুর রহমান হাসান বাদী হয়ে সাবু প্রামানিক ও তার ভাই বাবু প্রামানিকসহ চারজনকে এজাহারনামীয় আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১০, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) ১১(ক)/৩০।
মাহাবুবুর রহমান হাসান মামলার অভিযোগে বলেন, তার বোন হাফিজা খাতুনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ডান কানের নিচে, থুতনির নিচে, থুতনির ডান পাশে, গলার ডান পাশে, ডান কাঁধের নিচে, ডান ও বাম হাতের কনুইয়ের উপরে ও নিচে এবং ডান পায়ের হাটুর নিচে জখমের চিহ্ন আছে।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান আসামী সেলিম রেজা অরফে বাবু প্রামানিককে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রিন্ট