আজ দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা মার্কেট চত্বরের সামনে আদিবাসী বাঙ্গালিদের আয়োজনে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভুমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্ক্যের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী বাঙ্গালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক ও গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, জন উদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সনাকের সদস্য জিয়াউল হক কামাল, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রাণী দেবী, শহিদুল ইসলাম,কাজী আব্দুল খালেক, অশোক সাহা, রবি দাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবি দাস, ভূমি উদ্ধার কমিটির নেতা ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনি কলের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্মে সাঁওতাল পল্লীতে তৎকালীন স্থানীয় প্রশাসন ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সাঁওতাল পল্লীতে বেআইনি উচ্ছেদের নামে সন্ত্রাসী হামলা, বসত বাড়ীতে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর, লুটপাটসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় তছনছ করে। সন্ত্রাসী হামলায় শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু নামে তিন সাঁওতাল নিহত হন। অনেকে গুরতর আহত হন।
বক্তাগণ অবিলম্বে সাওতাল পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত চিহ্নিত আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন এবং নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। আদিবাসী নেতাগণ তাদের পৈত্রিক ১৮৪২.৩০ একর রিক্যুইজিশন (Requisition) কৃত জমি সরকারের কাছে দালিলিক ভাবে ফেরত প্রদানের জন্য জোর দাবী জানান।
এছাড়া সাঁওতালদের দায়র করা মামলার গুরুত্বপূর্ণ ও মূল ১১ জন আসামীকে বাদ দিয়ে দাখিলি পুলিশ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান ও তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান। সভা শেষে সাঁওতালগণ তাদের নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মনজয় করেছেন।
প্রিন্ট