ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ Logo মাদারিপুরে দু’টি বাস-পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬ Logo প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার মজলিস Logo ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিক্ষোভ Logo গোমস্তাপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ Logo বাগাতিপাড়ায় লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল কালো মুখ হনুমানের
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

টানা বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসে জলাবন্ধতা সৃষ্ট্রি হওয়ায় পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে 

সাজেদুর রহমানঃ

অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা ৩ দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেডে পানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ ও চলাচলে সজাগ দৃষ্ট্রি রাখছে কর্তৃপক্ষ। টানা বৃষ্ট্রির কারণে আমদানি-রফতানি ও কমেছে অনেক।

 

টানা বৃষ্টির কারণে বেনাপোল কাস্টম হাউসে হাটু পানি জমেছে ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শুল্কায়ন কার্যক্রম। হাটু সমান পানি অতিক্রম করে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিস করছেন। বন্দর ও কাস্টমসে হাটু সমান পানি জমে থাকায় পণ্য পরীক্ষণে যেতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

 

অপরদিকে সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে কাস্টস হাউস অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে আগুন ধরে যায়। ফলে কাস্টমসের সার্ভার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শুল্কায়ন কার্যক্রম। একদিকে ভয়াবহ পানি অপর দিকে আগুন, আতঙ্কে আছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

 

বেনাপোল বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড, ৩টি ওপেন ইয়ার্ড ও একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্তু অধিকাংশ অবকাঠামোই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এই বন্দর থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাই সরকার।

 

একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘœ ঘটে, সিএন্ডএফ ষ্টাফ, শ্রমিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে।

 

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিরুল ইসলাম শাকিল বলেন, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকে চুলকানি ও নানা রোগে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিকেলসামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকরা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি

error: Content is protected !!

টানা বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসে জলাবন্ধতা সৃষ্ট্রি হওয়ায় পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে 

আপডেট টাইম : ৮ ঘন্টা আগে
সাজেদুর রহমান, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি :

সাজেদুর রহমানঃ

অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা ৩ দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেডে পানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ ও চলাচলে সজাগ দৃষ্ট্রি রাখছে কর্তৃপক্ষ। টানা বৃষ্ট্রির কারণে আমদানি-রফতানি ও কমেছে অনেক।

 

টানা বৃষ্টির কারণে বেনাপোল কাস্টম হাউসে হাটু পানি জমেছে ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শুল্কায়ন কার্যক্রম। হাটু সমান পানি অতিক্রম করে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিস করছেন। বন্দর ও কাস্টমসে হাটু সমান পানি জমে থাকায় পণ্য পরীক্ষণে যেতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

 

অপরদিকে সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে কাস্টস হাউস অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে আগুন ধরে যায়। ফলে কাস্টমসের সার্ভার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শুল্কায়ন কার্যক্রম। একদিকে ভয়াবহ পানি অপর দিকে আগুন, আতঙ্কে আছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

 

বেনাপোল বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড, ৩টি ওপেন ইয়ার্ড ও একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্তু অধিকাংশ অবকাঠামোই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এই বন্দর থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাই সরকার।

 

একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘœ ঘটে, সিএন্ডএফ ষ্টাফ, শ্রমিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে।

 

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিরুল ইসলাম শাকিল বলেন, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকে চুলকানি ও নানা রোগে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিকেলসামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকরা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।


প্রিন্ট