আগামী ১৭ আগস্ট হিন্দু রীতিতে অনুষ্ঠিত হবে মনসা পূঁজা। এ পূঁজার অন্যতম একটি ব্যবহ্রত জিনিষ ‘ঘট’। ঘটের তিনদিকে সাপের ফনা দিয়ে তৈরী করা হয় এই ঘটগুলো। আর এই ঘট তৈরী করেন শুধু কুমাররা। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কুমারপাড়া এখন ‘ঘট’ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার কয়েকটি কুমারপাড়া ঘুরে দেখা যায়, মেগচামী,গাজনা, বেলেশ^র ,কোরকদি ইউনিয়নের বাগবাড়ি এলাকার কুমাররা এখন ঘট তৈরী করতে এমন ব্যস্ত যেন অন্য কোন কাজ করতে তারা পারছেন না। খাওয়া দাওয়া কোনমতে করতে পারলেও বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ঘট তৈরীর কাজ। কারন মনষাপূঁজার ঘট তৈরীর মৌসুম।
মেগচামী পালপাড়ার গোবিন্দ পাল বলেন, পূর্বপুরুষের আমল হতে দাদু-বাবা এই মাটির কাজ করছেন। আমরা এ পেশাকে বাদ দিতে পারছি না। যদিও আগের মতো এ পেশার আয় রোজগার নেই। তবুও চালিয়ে যাচ্ছি মাটির তৈরী জিনিষ পত্র।
অমল পাল বলেন, প্লাস্টিকের জিনিষপত্র ব্যবহারের কারনে এখন আর আগের মতো মাটির জিনিষপত্র লোকজন ব্যবহার করে না। আয় রোজগার কম হলেও পেশাকে বাদ দিতে পারছি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার জানান, গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতিক মৃৎশিল্প। এ শিল্পকে ধরে রাখতে সরকারী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মধুখালী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজল বসু বলেন, এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে মাটির তৈরী জিনিষপত্র ব্যবহ্রত হতো । বর্তমানে এ শিল্পটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। তারপরও শিল্পটিকে বাঁচানো দরকার।
প্রিন্ট