সাজেদুর রহমানঃ
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবার বেনাপোল কাস্টম হাউস খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেই কাস্টম হাউস এ সামান্য কিছু কাজ হয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারী সকলেরই উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ৪২টি কনসারমেন্টের পণ্য ডেলিভারীর জন্য বন্দরে কাজ হয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কোন আমদানি-রফতানি হয়নি।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী বেনাপোল কাস্টম হাউজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে। এই দু‘দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সকল প্রকার কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
যূথী এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বন্দর এবং কাস্টমসে কাজকর্ম চলছে ঢিমেতালে। আগে না জানতে পারাই ব্যবসায়ী ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি একেবারেই কম।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, বেনাপোল কাস্টম হাউস ও বন্দর সকাল থেকেই খোলা রয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে অনেকেই অফিস খোলা থাকার বিষয়টি জানে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে শনিবার কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, স্বাভাবিক সময়ের মতো বন্দরের কার্যক্রম চালু রেখেছি। সকাল থেকে ৪২টি কনসারমেন্টের পণ্য ডেলিভারীর জন্য ফাইলে কাজ হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী পণ্য চালান খালাস নিতে চাইলে অবশ্যই নিতে পারবে।
প্রিন্ট