ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মধুখালীতে ১২ শিক্ষকের স্কুলে ২৪ শিক্ষার্থী, অথচ ২২ জনই অকৃতকার্য

মোঃ আরিফুল হাসানঃ

 

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী রাশিদা নবী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় চরম ফল বিপর্যয় ঘটেছে। ২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র দুজন। অথচ ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ১২ জন।

 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে এই চিত্র দেখা যায়। এতে বিদ্যালয়টির পড়াশোনার মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

 

ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি, সবার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন,

“আসলে এমন ফল বিপর্যয়ের ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। বিদ্যালয়টি আমার ইউনিয়নের মধ্যে হলেও শিক্ষক, কমিটির কোনো লোকজন আমাদের কাছে কোনো কাজেও আসে না।”

 

মধুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আ. আউয়াল আকন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,

“এমন ফলাফল মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। করোনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলে আসার আগ্রহ কমে গেছে। পড়ালেখায় অনীহা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদেরও গাফিলতি রয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ালেখার চাপ প্রয়োগ করতে পারছেন না। পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে এই ফল বিপর্যয় ঘটেছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

মধুখালীতে ১২ শিক্ষকের স্কুলে ২৪ শিক্ষার্থী, অথচ ২২ জনই অকৃতকার্য

আপডেট টাইম : ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
মো: আরিফুল মিয়া, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

মোঃ আরিফুল হাসানঃ

 

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী রাশিদা নবী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় চরম ফল বিপর্যয় ঘটেছে। ২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র দুজন। অথচ ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ১২ জন।

 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে এই চিত্র দেখা যায়। এতে বিদ্যালয়টির পড়াশোনার মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

 

ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি, সবার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন,

“আসলে এমন ফল বিপর্যয়ের ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। বিদ্যালয়টি আমার ইউনিয়নের মধ্যে হলেও শিক্ষক, কমিটির কোনো লোকজন আমাদের কাছে কোনো কাজেও আসে না।”

 

মধুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আ. আউয়াল আকন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,

“এমন ফলাফল মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। করোনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলে আসার আগ্রহ কমে গেছে। পড়ালেখায় অনীহা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদেরও গাফিলতি রয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ালেখার চাপ প্রয়োগ করতে পারছেন না। পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে এই ফল বিপর্যয় ঘটেছে।”


প্রিন্ট