ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাদারীপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও চালু হয়নি মডেল মসজিদ, ভোগান্তিতে মুসল্লিরা

সোহাগ কাজীঃ

১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট মাদারীপুর জেলা সদর মডেল জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় ছয় মাস আগে শেষ হলেও এখনও চালু হয়নি মসজিদটি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মুসল্লিরা। তাই দ্রুত মসজিদ উদ্বোধনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুসল্লিরা।

সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টায় মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকার জেলা সদর জামে মডেল মসজিদের নিচতলায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলেও মাদারীপুর জেলা সদর মডেল জামে মসজিদটি দীর্ঘদিনও উদ্বোধন হয়নি। এজন্য গণপূর্ত বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে দীর্ঘ ছয় মাসও মসজিদটি উদ্বোধন হয়নি। এদিকে মসজিদ উদ্বোধন না হওয়ায় অস্থায়ী একটি টিনশেট ঘরে দীর্ঘদিন ধরে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। পাশাপাশি টয়লেট-বাথরুম এমনকি অজুখানা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মুসল্লিরা। এছাড়াও বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে মসজিদে বিদ্যুৎ নেই। ফলে গরমের মধ্যে কষ্ট করে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে হচ্ছে। তাই মসজিদটিতে নতুন করে ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ও নৈশপ্রহরী নিয়োগ দিয়ে দ্রুত মসজিদ চালুর দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রাজন মাহমুদ, কেএম তোফাজ্জল হোসেন সান্টু, ফিরোজ শিকদার, গোলম মোস্তফা, ওবায়াদুল হক বাদল, লিটন মোল্লা প্রমুখ।
স্থানীয় মেহেদী হাসান বলেন, মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য নির্মাণ করা হলেও তা এখনও সম্ভব হয়নি। অথচ প্রায় ১০ মাস আগেই মডেল মসজিদ ভবনের একটি অংশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে মসজিদটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ শকুনি লেকপাড়ের কাছে হওয়ায় প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে নামাজ পড়তে আসেন। তারা ছোট টিনের ঘরে কষ্ট করে নামাজ পরছেন। অজুখানা নেই। কারো অজুর প্রয়োজন হলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি টয়লেটও নেই, বিদ্যুৎ নেই। অথচ মডেল মসজিদটি চালু হলেই সব কিছুর সমাধান হয়ে যেতো।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ বাস-মালিক সমিতির মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি কে এম তোফাজ্জল হোসেন ছান্টু বলেন, মাদারীপুর জেলা মডেল জামে মসজিদের দীর্ঘদিন আগে কাজ শেষ হলেও অদৃশ্য কারণে উদ্বোধন করা হয়নি। আমাদের আগের পুরনো টিনের ঘরেই নামাজ পড়তে হচ্ছে। দুর দুরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।এছাড়াও বর্তমান ইমামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। স্হানীয়রা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুত মসজিদের ইমাম নিয়োগ  ও মসজিদটি উদ্বোধনের দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ. বি. এম গোলাম সরওয়ারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়ার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন। নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কেন মসজিদ চালু হচ্ছে না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বলেন যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন, তারা সব জেনেও কেন তারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না, ডিসি স্যার বলতে পারবেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

মাদারীপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও চালু হয়নি মডেল মসজিদ, ভোগান্তিতে মুসল্লিরা

আপডেট টাইম : ০৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
সোহাগ কাজী, সদর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি :

সোহাগ কাজীঃ

১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট মাদারীপুর জেলা সদর মডেল জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় ছয় মাস আগে শেষ হলেও এখনও চালু হয়নি মসজিদটি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মুসল্লিরা। তাই দ্রুত মসজিদ উদ্বোধনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুসল্লিরা।

সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টায় মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকার জেলা সদর জামে মডেল মসজিদের নিচতলায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলেও মাদারীপুর জেলা সদর মডেল জামে মসজিদটি দীর্ঘদিনও উদ্বোধন হয়নি। এজন্য গণপূর্ত বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে দীর্ঘ ছয় মাসও মসজিদটি উদ্বোধন হয়নি। এদিকে মসজিদ উদ্বোধন না হওয়ায় অস্থায়ী একটি টিনশেট ঘরে দীর্ঘদিন ধরে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। পাশাপাশি টয়লেট-বাথরুম এমনকি অজুখানা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মুসল্লিরা। এছাড়াও বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে মসজিদে বিদ্যুৎ নেই। ফলে গরমের মধ্যে কষ্ট করে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে হচ্ছে। তাই মসজিদটিতে নতুন করে ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ও নৈশপ্রহরী নিয়োগ দিয়ে দ্রুত মসজিদ চালুর দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রাজন মাহমুদ, কেএম তোফাজ্জল হোসেন সান্টু, ফিরোজ শিকদার, গোলম মোস্তফা, ওবায়াদুল হক বাদল, লিটন মোল্লা প্রমুখ।
স্থানীয় মেহেদী হাসান বলেন, মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য নির্মাণ করা হলেও তা এখনও সম্ভব হয়নি। অথচ প্রায় ১০ মাস আগেই মডেল মসজিদ ভবনের একটি অংশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে মসজিদটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ শকুনি লেকপাড়ের কাছে হওয়ায় প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে নামাজ পড়তে আসেন। তারা ছোট টিনের ঘরে কষ্ট করে নামাজ পরছেন। অজুখানা নেই। কারো অজুর প্রয়োজন হলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি টয়লেটও নেই, বিদ্যুৎ নেই। অথচ মডেল মসজিদটি চালু হলেই সব কিছুর সমাধান হয়ে যেতো।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ বাস-মালিক সমিতির মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি কে এম তোফাজ্জল হোসেন ছান্টু বলেন, মাদারীপুর জেলা মডেল জামে মসজিদের দীর্ঘদিন আগে কাজ শেষ হলেও অদৃশ্য কারণে উদ্বোধন করা হয়নি। আমাদের আগের পুরনো টিনের ঘরেই নামাজ পড়তে হচ্ছে। দুর দুরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।এছাড়াও বর্তমান ইমামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। স্হানীয়রা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুত মসজিদের ইমাম নিয়োগ  ও মসজিদটি উদ্বোধনের দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ. বি. এম গোলাম সরওয়ারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়ার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন। নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কেন মসজিদ চালু হচ্ছে না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বলেন যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন, তারা সব জেনেও কেন তারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না, ডিসি স্যার বলতে পারবেন।

প্রিন্ট