ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে পৌরসভার চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন ইউএনও

আলিফ হোসেনঃ

রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় প্রায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কাঁচা মাটির রাস্তা পাকাকরণ, ড্রেন ও কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ অন্যতম।

 

এদিকে চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোর পৌর প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) লিয়াকত সালমান।

 

জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রোববার তিনি তানোর পৌর এলাকার তালন্দ ও বাজে আকচা মহল্লায় পৃথক ২টি মাটির কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তানোর পৌরসভার কার্যসহকারী মাহাবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তানোর পৌর এলাকায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ছোট ছোট ৮টি নতুন রাস্তা পাকাকরণ, ৩টি নতুন ড্রেন নির্মাণ, ২টি কবরস্থান ও একটি ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দুটি কাঁচা মাটির রাস্তা পাকাকরণের জন্য মাটি খননের কাজ শুরু করা হয়েছে।

 

মাটি খননের কাজ পরিদর্শনকালে নাগরিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং নিয়মানুযায়ী ও সঠিকভাবে কাজ করতে ঠিকাদারসহ পৌর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন পৌর প্রশাসক।

 

পৌরসভার সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকগণ জানান, তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পৌরসভার নাগরিক হিসেবে তারা তেমন কোনো নাগরিক সুবিধা পান না। বেশিরভাগ রাস্তা এখনো মাটির কাঁচা রাস্তায় রয়ে গেছে। পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লার রাস্তা-ঘাটে এখনো জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো। নেই খাবার সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা।

 

সম্প্রতি এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবরে সংশ্লিষ্ট মহল্লার নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন নাগরিকগণ।

 

এ বিষয়ে তানোর পৌরসভার কার্যসহকারী মাহাবুর রহমান বলেন, আগেও উন্নয়ন হয়েছে, তবে চাহিদার তুলনায় কম। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩য় শ্রেণীতেই রয়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এইভাবে রাজস্ব আদায় বাড়তে থাকলে আগামীতে তানোর পৌরসভা ১ম শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভার মান বাড়লে সরকারি বরাদ্দও বাড়বে এবং উন্নয়নও বৃদ্ধি পাবে। নাগরিক সুবিধা পেতে পৌরবাসীকে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

 

স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকার দলীয় মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে মেয়রদের টানাপড়েন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির কারণে থমকে যায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

 

অপরদিকে অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণেও সরকারি বরাদ্দ ও আদায়কৃত রাজস্ব অর্থের সঠিক ব্যবহার ও পরিকল্পনার অভাবে তানোর পৌর এলাকায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

 

বর্তমানে পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা নিতে পৌরকর পরিশোধ বাধ্যতামূলক করায় বেড়েছে উন্নয়ন ও কর আদায়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

তানোরে পৌরসভার চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন ইউএনও

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় প্রায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কাঁচা মাটির রাস্তা পাকাকরণ, ড্রেন ও কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ অন্যতম।

 

এদিকে চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোর পৌর প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) লিয়াকত সালমান।

 

জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রোববার তিনি তানোর পৌর এলাকার তালন্দ ও বাজে আকচা মহল্লায় পৃথক ২টি মাটির কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তানোর পৌরসভার কার্যসহকারী মাহাবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তানোর পৌর এলাকায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ছোট ছোট ৮টি নতুন রাস্তা পাকাকরণ, ৩টি নতুন ড্রেন নির্মাণ, ২টি কবরস্থান ও একটি ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দুটি কাঁচা মাটির রাস্তা পাকাকরণের জন্য মাটি খননের কাজ শুরু করা হয়েছে।

 

মাটি খননের কাজ পরিদর্শনকালে নাগরিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং নিয়মানুযায়ী ও সঠিকভাবে কাজ করতে ঠিকাদারসহ পৌর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন পৌর প্রশাসক।

 

পৌরসভার সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকগণ জানান, তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পৌরসভার নাগরিক হিসেবে তারা তেমন কোনো নাগরিক সুবিধা পান না। বেশিরভাগ রাস্তা এখনো মাটির কাঁচা রাস্তায় রয়ে গেছে। পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লার রাস্তা-ঘাটে এখনো জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো। নেই খাবার সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা।

 

সম্প্রতি এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবরে সংশ্লিষ্ট মহল্লার নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন নাগরিকগণ।

 

এ বিষয়ে তানোর পৌরসভার কার্যসহকারী মাহাবুর রহমান বলেন, আগেও উন্নয়ন হয়েছে, তবে চাহিদার তুলনায় কম। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩য় শ্রেণীতেই রয়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এইভাবে রাজস্ব আদায় বাড়তে থাকলে আগামীতে তানোর পৌরসভা ১ম শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভার মান বাড়লে সরকারি বরাদ্দও বাড়বে এবং উন্নয়নও বৃদ্ধি পাবে। নাগরিক সুবিধা পেতে পৌরবাসীকে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

 

স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকার দলীয় মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে মেয়রদের টানাপড়েন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির কারণে থমকে যায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

 

অপরদিকে অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণেও সরকারি বরাদ্দ ও আদায়কৃত রাজস্ব অর্থের সঠিক ব্যবহার ও পরিকল্পনার অভাবে তানোর পৌর এলাকায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

 

বর্তমানে পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা নিতে পৌরকর পরিশোধ বাধ্যতামূলক করায় বেড়েছে উন্নয়ন ও কর আদায়।


প্রিন্ট