কুষ্টিয়া জেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে কুষ্টিয়া জেলার ৬৪ ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার মোট ৯৬টি কেন্দ্রে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এই গণটিকা দেয়া শুরু হয়েছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন গুলোর সাবেক ১নং ওয়ার্ড-এ এই টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি বুথে ৬০০ মানুষকে এ টিকা দেয়া হবে।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসার ডা. এ. এইচ. এম. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া জেলায় মোট ৬২ হাজার ৪০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ছয় জন টিকা কর্মী ও নয় জন স্বেচ্ছাসেবক কর্মী কাজ করছেন। জেলায় ৪৫৬ জন টিকা কর্মী ও ৬৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক কর্মীর সমন্বয়ে গণটিকা কার্যক্রম চলছে।
এইদিকে শনিবার সকালে ভেড়ামারা পৌরসভা উদ্যোগে পৌরসভা চত্বরে গণটিকাদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। গণটিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে শনিবার সকাল ৯টা থেকে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে টিকা প্রদান কার্যক্রম সম্পর্কে পূর্বের সরকারি সিদ্ধান্তের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ৭ আগষ্ট ভেড়ামারা পৌরসভায় ১৮শ এবং উপজেলার মোকারিমপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে শুধু ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডে (প্রতি ওয়ার্ডে ২০০ জন করে) টিকা প্রদান করা হয় এবং বাহিরচর, চাঁদগ্রাম, জুনিয়াদহ ও ধরমপুর ইউনিয়নে আগামী ৮ তারিখে শুধু ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডে (প্রতি ওয়ার্ডে ২০০ জন করে) টিকা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে সকল ইউনিয়নের বাকি ওয়ার্ডগুলোতে টিকা প্রদান করা হবে।
প্রিন্ট