ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল ! Logo গোপালগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন Logo নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন Logo বাঘার পদ্মায় ধরা পড়ছে বাঘাইড়, কপাল খুলছে জেলেদের Logo বালিয়াকান্দিতে স্পোর্টস একাডেমির উদ্যগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন Logo আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য কালুখালীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন Logo কালুখালীর ৮৪ কৃষান কিষানী পেল পুষ্টি বাগানের উপকরণ Logo বাঘায় রোটারি ক্লাব অফ মেট্রোপলিটনের শীত বস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা! Logo দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বয়স্ক নারীদের শীতবস্ত্র ও শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়া শহরের অর্ধেকের বেশি সড়কেরই বেহাল দশা

কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ সড়কই খানা-খন্দে ভরা। হরহামেশাই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। একটুতেই জমে যাচ্ছে পানি। ফলে সড়কে নামলেই পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অর্ধেকের বেশি সড়কেরই বেহাল দশা। পৌর এলাকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ এসব সড়ক। বছরের পর বছর এমন অবস্থা থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে চলতি বছরের মধ্যেই শহরের সব সড়ক চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই বেহাল দশা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কোর্ট স্টেশনের পাশ দিয়ে হাসপাতাল মোড় হয়ে রাজা রাম চন্দ্র রায় চৌধুরী সড়ক থেকে মোল্লাতেঘরিয়া পর্যন্ত বিচারপতি মাহাবুব মোর্শেদ সড়কটির। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, শহরের সবচেয়ে বড় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তিনটি সরকারি কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য অপরিহার্য এ সড়কটি। কিন্তু জায়গায় জায়গায় খানা-খন্দের কারণে প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়কে যানজট নিত্যসঙ্গী। সামান্য একটু রাস্তা পার হতে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

দুর্ভোগের আরেক নাম কুষ্টিয়া হাসপাতাল সড়ক। মেডিকেল কলেজ, প্রধান ডাকঘর, জজকোর্ট, ডিসি কোর্ট, খাদ্য অফিস, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে এ সড়কের বিকল্প নেই। কিন্তু পিচ, ঢালাই কিছুই নেই এ রাস্তায়। কিছ দূর পার না হতেই দেখা যায় বড় বড় গর্ত। কিন্তু উপায় না থাকায় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ভাঙা-চোরা এ সড়ক পেরিয়েই প্রবেশ করতে হয় হাসপাতালে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আর এ খান চৌধুরী সড়ক। ছয় রাস্তার মোড় থেকে সড়কটি গিয়ে মিশেছে পৌরসভায়। অথচ এ সড়কের কার্পেটিংয়ের অস্তিত্বই বিলীন হতে বসেছে। খানা-খন্দ আর গর্তে চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। এছাড়াও শহরের অর্জুনদাস আগরওয়ালা সড়ক, আমলাপাড়া, টালিপাড়া, জেলখানা রোড, চৌড়হাস, কোর্টপাড়া, বড় স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন সড়কেরও একই অবস্থা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল !

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া শহরের অর্ধেকের বেশি সড়কেরই বেহাল দশা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অগাস্ট ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ সড়কই খানা-খন্দে ভরা। হরহামেশাই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। একটুতেই জমে যাচ্ছে পানি। ফলে সড়কে নামলেই পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অর্ধেকের বেশি সড়কেরই বেহাল দশা। পৌর এলাকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ এসব সড়ক। বছরের পর বছর এমন অবস্থা থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে চলতি বছরের মধ্যেই শহরের সব সড়ক চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই বেহাল দশা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কোর্ট স্টেশনের পাশ দিয়ে হাসপাতাল মোড় হয়ে রাজা রাম চন্দ্র রায় চৌধুরী সড়ক থেকে মোল্লাতেঘরিয়া পর্যন্ত বিচারপতি মাহাবুব মোর্শেদ সড়কটির। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, শহরের সবচেয়ে বড় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তিনটি সরকারি কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য অপরিহার্য এ সড়কটি। কিন্তু জায়গায় জায়গায় খানা-খন্দের কারণে প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়কে যানজট নিত্যসঙ্গী। সামান্য একটু রাস্তা পার হতে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

দুর্ভোগের আরেক নাম কুষ্টিয়া হাসপাতাল সড়ক। মেডিকেল কলেজ, প্রধান ডাকঘর, জজকোর্ট, ডিসি কোর্ট, খাদ্য অফিস, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে এ সড়কের বিকল্প নেই। কিন্তু পিচ, ঢালাই কিছুই নেই এ রাস্তায়। কিছ দূর পার না হতেই দেখা যায় বড় বড় গর্ত। কিন্তু উপায় না থাকায় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ভাঙা-চোরা এ সড়ক পেরিয়েই প্রবেশ করতে হয় হাসপাতালে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আর এ খান চৌধুরী সড়ক। ছয় রাস্তার মোড় থেকে সড়কটি গিয়ে মিশেছে পৌরসভায়। অথচ এ সড়কের কার্পেটিংয়ের অস্তিত্বই বিলীন হতে বসেছে। খানা-খন্দ আর গর্তে চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। এছাড়াও শহরের অর্জুনদাস আগরওয়ালা সড়ক, আমলাপাড়া, টালিপাড়া, জেলখানা রোড, চৌড়হাস, কোর্টপাড়া, বড় স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন সড়কেরও একই অবস্থা।


প্রিন্ট