কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ সড়কই খানা-খন্দে ভরা। হরহামেশাই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। একটুতেই জমে যাচ্ছে পানি। ফলে সড়কে নামলেই পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অর্ধেকের বেশি সড়কেরই বেহাল দশা। পৌর এলাকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ এসব সড়ক। বছরের পর বছর এমন অবস্থা থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে চলতি বছরের মধ্যেই শহরের সব সড়ক চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বেহাল দশা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কোর্ট স্টেশনের পাশ দিয়ে হাসপাতাল মোড় হয়ে রাজা রাম চন্দ্র রায় চৌধুরী সড়ক থেকে মোল্লাতেঘরিয়া পর্যন্ত বিচারপতি মাহাবুব মোর্শেদ সড়কটির। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, শহরের সবচেয়ে বড় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তিনটি সরকারি কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য অপরিহার্য এ সড়কটি। কিন্তু জায়গায় জায়গায় খানা-খন্দের কারণে প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়কে যানজট নিত্যসঙ্গী। সামান্য একটু রাস্তা পার হতে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
দুর্ভোগের আরেক নাম কুষ্টিয়া হাসপাতাল সড়ক। মেডিকেল কলেজ, প্রধান ডাকঘর, জজকোর্ট, ডিসি কোর্ট, খাদ্য অফিস, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে এ সড়কের বিকল্প নেই। কিন্তু পিচ, ঢালাই কিছুই নেই এ রাস্তায়। কিছ দূর পার না হতেই দেখা যায় বড় বড় গর্ত। কিন্তু উপায় না থাকায় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ভাঙা-চোরা এ সড়ক পেরিয়েই প্রবেশ করতে হয় হাসপাতালে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আর এ খান চৌধুরী সড়ক। ছয় রাস্তার মোড় থেকে সড়কটি গিয়ে মিশেছে পৌরসভায়। অথচ এ সড়কের কার্পেটিংয়ের অস্তিত্বই বিলীন হতে বসেছে। খানা-খন্দ আর গর্তে চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। এছাড়াও শহরের অর্জুনদাস আগরওয়ালা সড়ক, আমলাপাড়া, টালিপাড়া, জেলখানা রোড, চৌড়হাস, কোর্টপাড়া, বড় স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন সড়কেরও একই অবস্থা।
প্রিন্ট