ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পার্বতীপুরে মাদ্রসার ৪ একর জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শার্শায় শিয়াল মারার ফাঁদে কৃষকের মৃত্যু    Logo তানোরে একতা যুব সংঘের নিজস্ব অর্থায়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন Logo ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে ৩ জন রোহিঙ্গা ও ২ জন দালাল আটক Logo দুর্নীতিবাজ-মাফিয়াদের রাজনীতি চাই না”— ঝালকাঠিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঘোষণা Logo কুষ্টিয়ায় পাউবোর কোটি টাকার তেল চুরির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেফতার Logo ঠাকুরগাঁওয়ে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ৩ বিষয়ে ফেল Logo কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ১ Logo কুষ্টিয়া পৌরসভার গেটে আবর্জনা ফেলে কর্মবিরতিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শ্রমিক নিহতের তথ্য চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনাবাড়ী থানার ওসির অশ্লীল আচরণ

আরমান হোসেনঃ

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্রীনল্যান্ড নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হৃদয় নিহতের ঘটনায় তথ্য জানতে গিয়ে সাংবাদিকরা অপমান ও অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, নিহত হৃদয় (২০) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর এলাকার সুরাবাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের ডাইং সেকশনে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৭ জুন শুক্রবার রাত থেকে ২৮ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তারা দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় নিহত হৃদয়ের মা মোছাঃ খোদেজা খাতুন ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে আহাজারি করেন।

এদিকে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের কিছু ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের হাতে আসে, যেখানে দেখা যায়—একটি কক্ষে হৃদয়কে সুস্থ অবস্থায় ঢুকানো হয়, এরপর তার হাত-পা বেঁধে রুমের ভেতরে ও বাইরে তাকে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়ের নিথর দেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কারখানা থেকে বের করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

ঘটনার সত্যতা যাচাই ও পুলিশি অবস্থান জানতে দৈনিক যুগান্তরের কাশিমপুর-কোনাবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শামীম এবং চ্যানেল এস-এর গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি সালাহ উদ্দিন আহমেদ শনিবার কোনাবাড়ী থানায় ওসি সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের কোন তথ্য না দিয়েই থানা থেকে বের হয়ে যান।এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দায়ী ওসির অপসারণসহ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পার্বতীপুরে মাদ্রসার ৪ একর জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

শ্রমিক নিহতের তথ্য চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনাবাড়ী থানার ওসির অশ্লীল আচরণ

আপডেট টাইম : ০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
আরমান হোসেন, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :

আরমান হোসেনঃ

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্রীনল্যান্ড নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হৃদয় নিহতের ঘটনায় তথ্য জানতে গিয়ে সাংবাদিকরা অপমান ও অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, নিহত হৃদয় (২০) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর এলাকার সুরাবাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের ডাইং সেকশনে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৭ জুন শুক্রবার রাত থেকে ২৮ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তারা দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় নিহত হৃদয়ের মা মোছাঃ খোদেজা খাতুন ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে আহাজারি করেন।

এদিকে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের কিছু ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের হাতে আসে, যেখানে দেখা যায়—একটি কক্ষে হৃদয়কে সুস্থ অবস্থায় ঢুকানো হয়, এরপর তার হাত-পা বেঁধে রুমের ভেতরে ও বাইরে তাকে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়ের নিথর দেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কারখানা থেকে বের করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

ঘটনার সত্যতা যাচাই ও পুলিশি অবস্থান জানতে দৈনিক যুগান্তরের কাশিমপুর-কোনাবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শামীম এবং চ্যানেল এস-এর গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি সালাহ উদ্দিন আহমেদ শনিবার কোনাবাড়ী থানায় ওসি সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের কোন তথ্য না দিয়েই থানা থেকে বের হয়ে যান।এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দায়ী ওসির অপসারণসহ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।


প্রিন্ট