নিম্নমানের কাজের অভিযোগে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রায়টা জুনিয়াদহ সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রকিব হাসান। সড়কের কাজ পরির্দশনে গিয়ে তিনি নিম্নমানের কাজ দেখতে পান। পরে তা বন্ধের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রায়টা জুনিয়াদহ সড়ক। ১৯ কিলোমিটার সড়কের জন্য ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম থেকেই নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে আসছিলেন এলাকাবাসী। বর্তমানে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি বাজারের পাশে সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।
অতিবর্ষণের মাঝেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাকসি এসোসিয়েট তড়িঘড়ি কাজ করে চলেছে।
৫আগষ্ট দুপুরে সড়কের কাজ পরিদর্শনে যান ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রকিব হাসান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, কুষ্টিয়া এলজিডি’র সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল রাশেদি। তারা দেখতে পান অটো মেশিনে মিকচিং হওয়া খোয়ার সঙ্গে ডাস্টের পরিমাণ খুবই কম। মিকচিংএ কমপক্ষে ৫ ভাগ ডাস্ট প্রয়োজন ছিল। বিটুমিনসহ অন্যান্য খরচ বাঁচাতে তারা ২/৩ ভাগ ডাস্ট দিচ্ছিলেন। ডাস্টের পরিমাণ কম হলে খোয়ার সমন্বয় ঘটে না। এ সময় কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন প্রকৌশলীরা।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রকিব হাসানের সাথে আজ (৬আগষ্ট) সকালে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় ভেড়ামারা রায়টা জুনিয়াদহ সড়কের আড়কান্দি এলাকায় কাজ চলছে। অটো মেশিনে মিকচিং করে রাস্তায় খোয়া বিছানো হচ্ছে। তাতে দেখা গেছে, মিকচিংএ কমপক্ষে ৫ ভাগ ডাস্ট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা ২/৩ ভাগ ডাস্ট দিচ্ছিলেন। ডাস্টের পরিমাণ কম হলে খোয়ার সমন্বয় ঘটে না। খোয়ার মাঝে অনেক ফাঁকের সৃষ্টি হয়। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। যে কারণে গত ৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রিন্ট