সরকারীভাবে শনিবার ৭ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। গণটিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাংশা উপজেলায় পাংশা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
জানা যায়, পাংশা পৌরসভাসহ বাহাদুরপুর, হাবাসপুর, যশাই, মাছপাড়া, বাবুপাড়া, মৌরাট, পাট্টা, শরিষা, কলিমহর ও কসবামাজাইল ইউপিতে ১টি করে গণটিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হলো- পাংশা পৌরসভার পাংশা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর ইউপির সেনগ্রাম ফাজিল মাদরাসা, হাবাসপুর ইউপির হাবাসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, যশাই ইউপির যশাই ইউনিয়ন পরিষদ, মাছপাড়া ইউপির মেঘনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবুপাড়া ইউপির ব্রহ্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌরাট ইউপির রূপিয়াট দাখিল মাদরাসা, পাট্টা ইউপির বয়রাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শরিষা ইউপির প্রেমটিয়া-শরিষা উচ্চ বিদ্যালয়, কলিমহর ইউপির পরানপুর-দুরশনদিয়া দাখিল মাদরাসা ও কসবামাজাইল ইউপির কেওয়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শুক্রবার ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় জানতে চাইলে করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান প্রসঙ্গে পাংশা উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর তৈয়বুর রহমান জানান, প্রথম পর্যায়ে পৌরসভা বা ইউনিয়নের সাবেক ১ নং ওয়ার্ড যা বর্তমানের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের জন্য ১টি করে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
টিকাদান কার্যক্রমের সুবিধার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ করা হবে। প্রতিটি বুথে ২জন করে টিকাদানকারী ও ৩জন করে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন করে সুপারভাইজার টিকাদান কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।
তৈয়বুর রহমান আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রথম দিনে প্রথম ডোজ হিসেবে মোট ৬শ’ ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। ২৫ বছর বা তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ লক্ষে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গণটিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রিন্ট