আলিফ হোসেনঃ
বগী বা পাতি নেতা শব্দটি সাধারণত নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন নেতাদের বোঝাতে বলা হয় যারা মূলত রাজনীতির ছোটখাটো সুযোগ-সুবিধা বা ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করেন, অথচ জনগণের প্রকৃত কল্যাণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেন না। এলাকায় এরা বিতর্কিত ও জনবিচ্ছিন্ন।
নীচে বগী বা পাতি নেতা সম্পর্কে কিছু বক্তব্য দেওয়া হলো – চিন্তার খোরাক হিসেবেও নেওয়া যায়ঃ-
* বগী বা পাতি নেতা দের কিছু চেনার বৈশিষ্ট্য*
১) দলীয় পরিচয়ের আড়ালে ব্যক্তিগত ব্যবসাঃ দলের নাম ব্যবহার করে নিজের পকেট ভারী করা যেদিক বৃষ্টি সেদিক ছাতা ধরা যেন মুখ্য উদ্দেশ্য।
২) উন্নয়নের নামে আত্মপ্রচারঃ রাস্তা মেরামত বা লাইট লাগালেও যেন পুরো শহর বদলে ফেলেছেন — এমন ভাব। নিজের টাকায় কর্মীদের দিয়ে প্যানা-পোস্টার সাঁটিয়ে নিজের প্রচার করা।
৩) জনসংযোগ নয়, চামচা-চ্যালাচামুন্ডা সংযোগ যেসব মানুষ কেবল প্রশংসা করে, তাদের ঘিরেই থাকেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা শোনার সময় নেই।
৪) নাটকীয়তা বেশি, বাস্তব কাজ কমঃ- হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা,আমন্ত্রণ না দিলেও মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন অনেকটা কেড়ে নেতার গুণকীর্তন মাইক হাতে বক্তৃতা — কিন্তু প্রকৃত কাজে অনুপস্থিত। এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন।
৫) সমালোচনায় সহ্যশীলতা নেইঃ কেউ প্রশ্ন করলে,বা সমালোচনা করলেই চামচা-চ্যালাচামুন্ডাদের হাতে বেইজ্জতের পাশাপাশি বিরোধী দলের ‘চর’ বলে ট্যাগ দেয়া।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
*বগী বা পাতি নেতৃত্বের ক্ষতিকর দিক*
১) গণতন্ত্রকে দুর্বল করে, লেজুড়বৃত্তি ও চামচা-চ্যালাচামুন্ডাদের দৌরাত্ম্যে।
২) টাকার বিনিময়ে জনপ্রিয়তা পেতে চাই, এতে জনসাধারণের আস্থা নষ্ট হয়।নেতার টাকায় প্যানা-পোস্টার জনবহুল স্থানে সাঁটানো।
৩) টাকার বিনিময়ে নেতা করায় আদর্শিকতা নাই ও প্রকৃত নেতৃত্বের বিকাশ থেমে যায়।
৪) টাকার জোরে নেতা হতে চাই এতে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি কলুষিত হয়।
***প্রতিকার কী হতে পারে***
১. নাগরিকদের সচেতন হওয়া।
২. তার রাজনৈতিক জীবনের অতিত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে জনসম্মুখে প্রশ্ন করতে শেখা।
৩. সাময়িক সুখের জন্য টাকার লোভে তাদের পিছনে না থেকে আদর্শিক ও ভালো মানুষের পক্ষে থাকা।
৪. অর্থ নয় যোগ্য নেতৃত্বকে সমর্থন করা, বন্ধুত্ব বা ভয় নয় — বিবেচনায় ভোট দেওয়া।
প্রিন্ট