হানিফ উদ্দিন সাকিবঃ
নোয়াখালী জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সেই মিরাজকে আটক করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলা ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় বুধবার সকালে জেলা সদরের সোনাপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।
–
এর আগে গত রোববার রাতে জাহাজমারা নতুন সুখচর বাজারে আসামী মিরাজ উদ্দিনকে আটক করলে তার সহযোগিরা পুলিশের উপর হামলা করে। তারা পুলিশের ২ সদস্যকে আহত করে হ্যান্ডকাপ সহ আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশ বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় মামলা করে।
–
আটক মিরাজ উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সূখচর গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে। ছিনতাইকারীর আঘাতে আহত হয় এ এস আই অভিজিত বড়ুয়া, পুলিশ সদস্য সুজন কান্তি নাথ।
–
এ ঘটনার পরপরই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করে। তাতে মিরাজের সাত সহযোগিকে আটক করা হয়। কিন্তু এ সময় মিরাজ হাতিয়ার বাইরে অবস্থান করায় তাকে সহজে আটক করা যায়নি। সবশেষে প্রযুক্তির ব্যবহার করে ডিবি পুলিশের সহায়তা আজ তাকে আটক করা হয়।
–
একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিলেন মিরাজ উদ্দিন। ঘটনার দিন তাকে আটক করে ফিরার পথে পুলিশের উপর আক্রমন করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মো: ইয়াছিন এর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে পুলিশের উপর আক্রমন করে। এক পর্যায়ে তারা হ্যান্ডকাপসহ আসামী মিরাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অভিযুক্তদের ইটের আঘাতে আহত হয় এ এস আই অভিজিত বড়–য়া, পুলিশ সদস্য সুজন কান্তি নাথ। পরে জাহাজমারা ফাঁড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্বার করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মিরাজ, ইয়াছিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
–
এই বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, আসামীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা হাতিয়াতে বিরল। এ ঘটনার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান দিয়ে ৭ জনকে আটক করে। আজ এ ঘটনার মূলহোতা মিরাজকে আটক করা হল। তাকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম হাতিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। আগামীকার বৃহস্পতিবার আসামীকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রিন্ট