ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় হত্যা মামলার আসামীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

-ছবিঃ প্রতীকী।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উথুলী গ্রামে চাঞ্চচল্যকর ওলিয়ার হত্যা মামলার আসামীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হত্যা পরবর্তী সময়ে আসামীদের ও তাদের আত্মীয় স্বজন অনেকেরই গরু- ছাগল, ঘরের মালামাল লুটপাট হয়েছে। কিন্তু ঘটনার প্রায় ৫ মাস গত হলেও এখনও তার রেশ কাটেনি প্রতিনিয়ত ভয়ে ভয়ে দিন কাটে ওই পরিবারটির। হত্যা মামলার বাদী পক্ষের দলীয় কিছু পেশাদার লুটেরা লুটপাট করতে সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন সময়ে তাদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। পথেঘাটে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আসামী পক্ষের পরিবারের লোকজন। গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে খুন হন ওলিয়ার (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। এতে একই গ্রামের একটি পরিবারের বাবা ছেলেসহ তিন জনকে আসামী করা হয়।

আসামীরা পলাতক হওয়ার সুবাদে তাদের মাঠের ফসল ও বাড়ির গরু-ছাগলসহ মালামাল লুট হয়ে যায়। বাড়িতে মেয়েরা ও ছোট বাচ্চারা থাকে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।

হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ইসহাক শেখ বড় ছেলে চাঁনমিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি ঢাকায় থাকি, চাকরী ছেড়ে এখন বাড়ি পাহারা দিতে হবে। বাড়ির লোকজন সব সময় ভয়ে থাকে কোন পুরুষ নাই তাই আজ ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। গত রাতে আমাকে মারার জন্য কিছু লোক ওৎপেতে ছিলো আমার সর্তকতার জন্য হয়তো বেঁচে গেছি। তিনি আরো জানান, ওলিয়ার হত্যার সাথে আমার বাবা ও ভাই কেউ জড়িত নয় পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে।

খুন করেছে ওলিয়ারের দলীয় লোক আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে। প্রশাসন তদন্ত করুক যদি আমার বাবা-বা ভাই খুনি হয় তারা শাস্তি পাক । কিন্তু এলাকার নিরহ কিছু লোক ও আত্মীয় স্বজন ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মেয়েরা রাতে বের হতে পারে না। ঘরের ও বাড়ি আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে।

একই গ্রামের গ্রাম্য মোড়ল ইউনুস মোল্ল্যা , ইসমাইল ও ইমান খাঁ রফিকের নেতৃত্বে নিরব চাঁদাবাজি করতো। তারা জেলহাজতে থাকায় এখন এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে ওই গ্রামের মৃত্যু ছাদেক শেখ এর ছেলে দেলোয়ার শেখ।

ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব খাঁন বলেন, দেলোয়ার শেখ এর নেতৃত্বে ছিদ্দিক, হাচান, ইয়াছিন, হেলাল, বালাম মোল্যার ছেলে, মনি মোল্যা,মোমজেদ কাজীর ছেলে মহিদুল কাজীসহ ২০/৩০ জনের দল দিন ভর পায়তারা করে থাকে। কার কি লুটপাট করা যায়।

চাঁনমিয়া অভিযোগ করে আরো বলেন, পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা মারামারির মামলায় উথুলী গ্রামের ইমান খাঁ কে পুলিশ ধরেছে, সেজন্য নাকি আমরা দায়ি এর জন্য গতকাল ২০/৩০ জনের একটি দল আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যায়। আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে, আমাদের টাকা দিয়ে তারা মামলা লড়বে এমনটি জানিয়ে তারা চলে যায়। আমরা অসহায়ত্বের মতো জীবন যাপন করছি।

মাননীয় পুলিশ সুপার এর কাছে ও সালথা থানা প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা কামনা করছি। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় হত্যা মামলার আসামীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

আপডেট টাইম : ০৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উথুলী গ্রামে চাঞ্চচল্যকর ওলিয়ার হত্যা মামলার আসামীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হত্যা পরবর্তী সময়ে আসামীদের ও তাদের আত্মীয় স্বজন অনেকেরই গরু- ছাগল, ঘরের মালামাল লুটপাট হয়েছে। কিন্তু ঘটনার প্রায় ৫ মাস গত হলেও এখনও তার রেশ কাটেনি প্রতিনিয়ত ভয়ে ভয়ে দিন কাটে ওই পরিবারটির। হত্যা মামলার বাদী পক্ষের দলীয় কিছু পেশাদার লুটেরা লুটপাট করতে সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন সময়ে তাদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। পথেঘাটে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আসামী পক্ষের পরিবারের লোকজন। গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে খুন হন ওলিয়ার (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। এতে একই গ্রামের একটি পরিবারের বাবা ছেলেসহ তিন জনকে আসামী করা হয়।

আসামীরা পলাতক হওয়ার সুবাদে তাদের মাঠের ফসল ও বাড়ির গরু-ছাগলসহ মালামাল লুট হয়ে যায়। বাড়িতে মেয়েরা ও ছোট বাচ্চারা থাকে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।

হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ইসহাক শেখ বড় ছেলে চাঁনমিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি ঢাকায় থাকি, চাকরী ছেড়ে এখন বাড়ি পাহারা দিতে হবে। বাড়ির লোকজন সব সময় ভয়ে থাকে কোন পুরুষ নাই তাই আজ ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। গত রাতে আমাকে মারার জন্য কিছু লোক ওৎপেতে ছিলো আমার সর্তকতার জন্য হয়তো বেঁচে গেছি। তিনি আরো জানান, ওলিয়ার হত্যার সাথে আমার বাবা ও ভাই কেউ জড়িত নয় পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে।

খুন করেছে ওলিয়ারের দলীয় লোক আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে। প্রশাসন তদন্ত করুক যদি আমার বাবা-বা ভাই খুনি হয় তারা শাস্তি পাক । কিন্তু এলাকার নিরহ কিছু লোক ও আত্মীয় স্বজন ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মেয়েরা রাতে বের হতে পারে না। ঘরের ও বাড়ি আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে।

একই গ্রামের গ্রাম্য মোড়ল ইউনুস মোল্ল্যা , ইসমাইল ও ইমান খাঁ রফিকের নেতৃত্বে নিরব চাঁদাবাজি করতো। তারা জেলহাজতে থাকায় এখন এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে ওই গ্রামের মৃত্যু ছাদেক শেখ এর ছেলে দেলোয়ার শেখ।

ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব খাঁন বলেন, দেলোয়ার শেখ এর নেতৃত্বে ছিদ্দিক, হাচান, ইয়াছিন, হেলাল, বালাম মোল্যার ছেলে, মনি মোল্যা,মোমজেদ কাজীর ছেলে মহিদুল কাজীসহ ২০/৩০ জনের দল দিন ভর পায়তারা করে থাকে। কার কি লুটপাট করা যায়।

চাঁনমিয়া অভিযোগ করে আরো বলেন, পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা মারামারির মামলায় উথুলী গ্রামের ইমান খাঁ কে পুলিশ ধরেছে, সেজন্য নাকি আমরা দায়ি এর জন্য গতকাল ২০/৩০ জনের একটি দল আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যায়। আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে, আমাদের টাকা দিয়ে তারা মামলা লড়বে এমনটি জানিয়ে তারা চলে যায়। আমরা অসহায়ত্বের মতো জীবন যাপন করছি।

মাননীয় পুলিশ সুপার এর কাছে ও সালথা থানা প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা কামনা করছি। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট