অপি মুন্সীঃ
মাদারীপুরে ১ মাস পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের জন্য নিহত ইলিয়াস হাওলাদারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
–
রবিবার (১জুন) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের মস্তফাপুর গণকবর স্থানের কবর থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। নিহত ইলিয়াস হাওলাদার সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে।
-
মামলা ও এলাকা সুত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে ৩০ এপ্রিল (বুধবার) নিহত ইলিয়াস মোটরসাইকেল নিয়ে পাথুরিয়ারপার থেকে রাতে মস্তফাপুর নিজ বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ইলিয়াস পান্তাপাড়া ইসাবেলা ফিলিং স্টোশনের কাছে পৌঁছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেছন থেকে কেউ হামলা চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পান্তাপাড়া ইসাবেলা ফিলিং স্টেশনের পাশে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফেলে রেখে যায়, তবে অনেক সময় পরে স্থানীয়রা সড়কে লাশ দেখে ধারনা করে অজ্ঞাতনামা কোন পরিবহণ এসে তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইলিয়াস মারা যেতে পারে। খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেন।
–
সে সময় পরিবার বুঝতে পারেনি তাকে হত্যা করে ফেলে রেখেছে। তাই কোন তদন্ত ছাড়াই ইলিয়াসের লাশ দাফন করা হয়। তবে ইলিয়াসের মৃত্যু দেহ দাফন কাঁপনে সময় তার মাথার এক পাশে ও পায়ে এক অংশে কোপানোর চিহ্ন দেখতে পায়। এছাড়া মোটরসাইকেলটি খন্ড দ্বিখন্ড হয়ে বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকলেও নিহত ইলিয়াসের শরীরে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার তেমন কোন আলামত দেখতে পায়নি।
–
তবে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ায়’ আদালতের মাধমে লাশের তদন্তের দাবী করতে বিলম্বিত হয়। তবে পরিবার ধারনা করছে ইলিয়াসকে হত্যা করা হয়েছে। এবং তদন্ত শেষে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা পরিবারের।
-
গত এক মাস আগে এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোঃ খোকন জমাদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা নিহত ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে কিভাবে মারা গেছে সেটা তদন্ত হলে জানা যাবে।
–
মাদারিপুর আদালতে তদন্তের নির্দেশ দাবী কারী নিহত ইলিয়াস হাওলাদারের ছোট ভাই ইদ্রিস হাওলাদার জানান, আমার ভাইকে কেউ হত্যা করে সড়কে ফেলে রেখে সড়ক দুর্ঘটনা চালানোর চেষ্টা করছে। তাই আমি পরিবারের পক্ষে থেকে আদালতের মাধ্যমে লাশ তদন্তের দাবী জানিয়েছি। এবং সেই আদালতে নির্দেশে আজ আমার ভাইয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
-
মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আরব আলী জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পরে আমরা বলেছিলাম ময়নাতদন্ত করে মাটি দিতে, তখন তারা সেটা করেনি। তবে এখন তারা আদালতের মাধ্যমে লাশ ময়নাতদন্তর দাবী জানিয়েছে তাই আজ রবিবার আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রিন্ট