ফরিদপুরের সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় গোলাম মওলা (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মওলা ওই গ্রামের মৃত গনি মোল্যার ছেলে। নিহত গোলাম মওলা ৯ ছেলে ও ৪জন কন্যা সন্তানের জনক। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
এ ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদুনন্দী বাজারে মোশারফ মোল্যার একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মুদি ব্যবসা করে আসছেন গোলাম মওলার ছেলে কবির মোল্যা।
রবিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মোশারফ মোল্যার ছেলে জুয়েল মোল্যা ও আবু তালেব মোল্যা কোন নোটিশ ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে কবির মোল্যাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলে। কবির মোল্যা দুই দিনের সময় চাইলে জুৃয়েল ও আবু তালেব চড়াও হয়ে তার উপর হামলা করে। হামলার সময় কবিরের পিতা গোলাম মওলা আগাইয়া আসলে তার উপরও হামলা চালায়। এতে সে গুরুত্বর অসুস্থ্য হলে পরিবারের লোকজন তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ও সালথা-নগরকান্দা পুলিশের সার্কেল মোঃ সুমিনুর রহমান, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুজ্জামান।
নিহতের ছেলে ছামাদ মোল্যা, মিলন মোল্যা ও হিরোন মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, যদুনন্দী বাজারে আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে যদুনন্দী গ্রামের আবু তালেব মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, পান্নু মোল্যাসহ প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। এ হামলার সময় আমাদের ও আমার বাবাকে লাথি কিল ঘুষিসহ ব্যাপক মারধর করে। এতেই সে মারা যায়। আমরা আমাদের বাবা হত্যার বিচার চাই।
অন্যদিকে স্থানীয় ভাবে দুটি দলে বিভক্তির কারণে, অভিযুক্তদের অনেকেই বলছে ওই বৃদ্ধের স্বাবাভিক মৃত্যু হয়েছে। ওই মারামারিতে গোলাম মওলাকে কেউ আঘাত করেনি। এর আগে তিনি একবার স্ট্রোক করেছেন। তাদের ধারনা স্ট্রোকজনিত কারনে মারা যেতে পানের।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি তাকে মুকসুদপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি গোলাম মওলা মারা গেছে। পরে ছুরাতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রিন্ট