ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল ! Logo গোপালগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন Logo নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন Logo বাঘার পদ্মায় ধরা পড়ছে বাঘাইড়, কপাল খুলছে জেলেদের Logo বালিয়াকান্দিতে স্পোর্টস একাডেমির উদ্যগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন Logo আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য কালুখালীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন Logo কালুখালীর ৮৪ কৃষান কিষানী পেল পুষ্টি বাগানের উপকরণ Logo বাঘায় রোটারি ক্লাব অফ মেট্রোপলিটনের শীত বস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা! Logo দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বয়স্ক নারীদের শীতবস্ত্র ও শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হাসপাতালে প্যারাসিটামল সংকট

ভেড়ামারায় রোগীদের চরম ভোগান্তি

-ছবিঃ প্রতীকী।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্যারাসিটামল সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ভেড়ামারায় ফার্মেসি গুলোতে জ্বরের ওষুধ তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুয়েকটি দোকানে মিললেও দাম নিচ্ছে বেশী।

ভেড়ামারাউপজেলায় গতদুই সপ্তাহ যাবত বৃদ্ধি পেয়েছে জ¦র-সর্দি, হাঁচি-কাশিসহ ব্যাথায় আক্রান্ত রোগীর। ফলে এ উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে প্যারাসিটামলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না প্যারাসিটামল। চাহিদা তুলনায় একবারেই অপ্রতুল। ওষুধের চাহিদা ও দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ভেড়ামারায়।

ওষুধ ক্রেতারা বলেন, বর্তমানে করোনাসহ জ¦র-সর্দি বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত ১৫ দিনে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপের কয়েক গুণ চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্যে ৮ টাকার প্রতি পাতা নাপা বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। নাপা এক্সটেনের পাতা ২০ টাকা, এইচ প্লাসের পাতা ৩০ টাকা এবং জি-ম্যাক্সের পাতা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কঠোর লকডাউনে পর্যাপ্ত ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে সাময়িকভাবে বাজারে কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও রোগীর স্বজনেরা ওষুধ পাচ্ছে না। কয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলে ও ভুক্তভোগিরা বলছে ওষুধের দাম নিচ্ছে বেশী।

বাজারের আল আমীন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আঃ রাজ্জাক বলেন, এই মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হওয়ায় প্রতি বছরই এসব ট্যাবলেটের চাহিদা বেশি থাকে। এ বছর করোনার কারণে চাহিদা আরও বেড়েছে। কিন্তু কোম্পানির প্রতিনিধিরা নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা সিরাপসহ এই জাতীয় ওষুধ সরবরাহ করছে খুবই কম। কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই অপ্রতুল। আর এইচএক্সআর ট্যাবলেটও খুব সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করছে। এজন্য এই জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে ভেড়ামারায়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল !

error: Content is protected !!

হাসপাতালে প্যারাসিটামল সংকট

ভেড়ামারায় রোগীদের চরম ভোগান্তি

আপডেট টাইম : ০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্যারাসিটামল সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ভেড়ামারায় ফার্মেসি গুলোতে জ্বরের ওষুধ তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুয়েকটি দোকানে মিললেও দাম নিচ্ছে বেশী।

ভেড়ামারাউপজেলায় গতদুই সপ্তাহ যাবত বৃদ্ধি পেয়েছে জ¦র-সর্দি, হাঁচি-কাশিসহ ব্যাথায় আক্রান্ত রোগীর। ফলে এ উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে প্যারাসিটামলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না প্যারাসিটামল। চাহিদা তুলনায় একবারেই অপ্রতুল। ওষুধের চাহিদা ও দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ভেড়ামারায়।

ওষুধ ক্রেতারা বলেন, বর্তমানে করোনাসহ জ¦র-সর্দি বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত ১৫ দিনে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপের কয়েক গুণ চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্যে ৮ টাকার প্রতি পাতা নাপা বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। নাপা এক্সটেনের পাতা ২০ টাকা, এইচ প্লাসের পাতা ৩০ টাকা এবং জি-ম্যাক্সের পাতা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কঠোর লকডাউনে পর্যাপ্ত ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে সাময়িকভাবে বাজারে কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও রোগীর স্বজনেরা ওষুধ পাচ্ছে না। কয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলে ও ভুক্তভোগিরা বলছে ওষুধের দাম নিচ্ছে বেশী।

বাজারের আল আমীন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আঃ রাজ্জাক বলেন, এই মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হওয়ায় প্রতি বছরই এসব ট্যাবলেটের চাহিদা বেশি থাকে। এ বছর করোনার কারণে চাহিদা আরও বেড়েছে। কিন্তু কোম্পানির প্রতিনিধিরা নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা সিরাপসহ এই জাতীয় ওষুধ সরবরাহ করছে খুবই কম। কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই অপ্রতুল। আর এইচএক্সআর ট্যাবলেটও খুব সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করছে। এজন্য এই জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে ভেড়ামারায়।


প্রিন্ট