কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্যারাসিটামল সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ভেড়ামারায় ফার্মেসি গুলোতে জ্বরের ওষুধ তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুয়েকটি দোকানে মিললেও দাম নিচ্ছে বেশী।
ভেড়ামারাউপজেলায় গতদুই সপ্তাহ যাবত বৃদ্ধি পেয়েছে জ¦র-সর্দি, হাঁচি-কাশিসহ ব্যাথায় আক্রান্ত রোগীর। ফলে এ উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে প্যারাসিটামলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না প্যারাসিটামল। চাহিদা তুলনায় একবারেই অপ্রতুল। ওষুধের চাহিদা ও দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ভেড়ামারায়।
ওষুধ ক্রেতারা বলেন, বর্তমানে করোনাসহ জ¦র-সর্দি বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত ১৫ দিনে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপের কয়েক গুণ চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্যে ৮ টাকার প্রতি পাতা নাপা বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। নাপা এক্সটেনের পাতা ২০ টাকা, এইচ প্লাসের পাতা ৩০ টাকা এবং জি-ম্যাক্সের পাতা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কঠোর লকডাউনে পর্যাপ্ত ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে সাময়িকভাবে বাজারে কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও রোগীর স্বজনেরা ওষুধ পাচ্ছে না। কয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলে ও ভুক্তভোগিরা বলছে ওষুধের দাম নিচ্ছে বেশী।
বাজারের আল আমীন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আঃ রাজ্জাক বলেন, এই মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হওয়ায় প্রতি বছরই এসব ট্যাবলেটের চাহিদা বেশি থাকে। এ বছর করোনার কারণে চাহিদা আরও বেড়েছে। কিন্তু কোম্পানির প্রতিনিধিরা নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা সিরাপসহ এই জাতীয় ওষুধ সরবরাহ করছে খুবই কম। কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই অপ্রতুল। আর এইচএক্সআর ট্যাবলেটও খুব সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করছে। এজন্য এই জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে ভেড়ামারায়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha