ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ Logo অবৈধ সম্পদঃ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Logo বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের স্থান নেইঃ -রুহুল কবির রিজভী Logo এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে কেশবপুর উপজেলা Logo ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমে গতি আনতে জেলা সমন্বয়ক টিম গঠন Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো খামারির স্বপ্ন Logo কালুখালীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo ফরিদপুরে ২৭টি “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র” উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদে মিন্টু (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হাফিজুল ইসলাম মুনির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৩) এবং একই গ্রামের মৃত আমজাদ মন্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন (৫৭)।

 

রায় ঘোষণার পর কড়া পাহারায় আসামি আমিন উদ্দিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং অপর আসামি ফারুক হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ির পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদ দেওয়া হয় মিন্টুকে। ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাতের দিকে বাড়ির উত্তর পাশ দিয়ে আসার পথে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একজোট হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে মিন্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর তার মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনার একদিন পর নিহত মিন্টুর বাবা মন্টু দৌলতপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

দৌলতপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ১৪ জনকে খালাস এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপাের্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদে মিন্টু (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হাফিজুল ইসলাম মুনির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৩) এবং একই গ্রামের মৃত আমজাদ মন্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন (৫৭)।

 

রায় ঘোষণার পর কড়া পাহারায় আসামি আমিন উদ্দিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং অপর আসামি ফারুক হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ির পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদ দেওয়া হয় মিন্টুকে। ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাতের দিকে বাড়ির উত্তর পাশ দিয়ে আসার পথে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একজোট হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে মিন্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর তার মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনার একদিন পর নিহত মিন্টুর বাবা মন্টু দৌলতপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

দৌলতপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ১৪ জনকে খালাস এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।


প্রিন্ট