ইসমাইল হোসেন বাবুঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদে মিন্টু (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হাফিজুল ইসলাম মুনির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৩) এবং একই গ্রামের মৃত আমজাদ মন্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন (৫৭)।
রায় ঘোষণার পর কড়া পাহারায় আসামি আমিন উদ্দিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং অপর আসামি ফারুক হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ির পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদ দেওয়া হয় মিন্টুকে। ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাতের দিকে বাড়ির উত্তর পাশ দিয়ে আসার পথে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একজোট হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে মিন্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার একদিন পর নিহত মিন্টুর বাবা মন্টু দৌলতপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৌলতপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ১৪ জনকে খালাস এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
প্রিন্ট