আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের(ইউপি)মালশিরা গ্রামে মালশিরা সার্বজনীন কালীমন্দিরের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। মালশিরা গ্রামের মৃত যোগেন্দ্রনাথের পুত্র সন্তোষ কুমার ও মৃত মহেন্দ্রনাথের পুত্র দ্বিজেন মন্দিরের সম্পত্তি জবর দখল করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে।এমনকি তারা কালীপূজা আয়োজনে বাধা দিচ্ছে। এমনকি তারা তাদের বাড়ির গবাদিপশুর বর্জ্য মন্দিরের জায়গায় ফেলছে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা তাদের হাত-পা ভেঙে দেবার হুমকি দিচ্ছেন। এঘটনায় স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে চরম ক্ষোভ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
.
জানা গেছে,উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা মৌজায় আরএস খতিয়ান নম্বর ২৭৬, আরএস দাগ নম্বর ১৫১৪,পরিমাণ ১২ শতক,শ্রেণী লায়েক পতিত। একই মৌজায় আরএস দাগ নম্বর ১৫১৭, পরিমাণ ১৪ শতক, শ্রেণী দেবস্থান এবং আরএস খতিয়ান ২৭৮, আরএস দাগ নম্বর ১২০৮, পরিমাণ ২২ শতক, শ্রেণী জনসাধারণের ব্যবহার্য বলে উল্লেখ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মালশিরা গ্রামের এসব সম্পত্তিতে মালশিরা সার্বজনীন কালীমন্দির। মালশিরা গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বংশপরম্পরায় এই মন্দিরে কালীপূজা করে আসছেন। দীর্ঘদিন মন্দির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সন্তোষ ও দ্বিজেন।
.
তারা প্রায় দু’যুগ ধরে এই মন্দির দেখভাল করে আসছেন। কিন্তু এখন তারা মন্দিরের এসব সম্পত্তি তাদের নিজেদের দাবি করে পূজা-অর্চনায় বাধা প্রদান করছেন। অথচ এসব সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তার পরেও সম্পত্তি জবর দখলে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছেন সন্তোষ ও দ্বিজেন। একাধিক গ্রামবাসী বলেন, সন্তোষ ও দ্বিজেন একটি সংঘবদ্ধ ভুমিগ্রাসী চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্দিরের জায়গা হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এনিয়ে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। এবিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
.
এবিষয়ে মালশিরা সার্বজনীন কালীমন্দির কমিটির সভাপতি অসিত সরকার ও সম্পাদক উজ্জল প্রামানিক বলেন, সন্তোষ ও দ্বিজেন দীর্ঘদিন তাদের মন্দির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। আর এই সুযোগে তারা জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করে মন্দির জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা গত ২৭মে থেকে মন্দিরে পূজা-অর্চনা চলছে, তারা পূজা-অর্চনায় বাধা দিচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সন্তোষ ও দ্বিজেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ মিথ্যচার করছে।
প্রিন্ট