ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বড়াইগ্রামে কাবিখা প্রকল্পে মাটি চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যুঃ তদন্তে প্রশাসন, অভিযোগ দেননি পরিবার

আমিরুল ইসলামঃ

 

নাটোরের বড়াইগ্রামের বাগডোব গড়িলা বিলে কাবিখা প্রকল্পের মাটি কাটার সময় ধসে পড়া গর্তে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে মোস্তাকিম আহমেদ (১০) নামে এক শিশু। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর শিশু সাকিব হোসেন (১২) এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

.

মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এলেও প্রশ্ন উঠছে—কেন ভেকু মেশিন দিয়ে কাবিখার কাজ করা হচ্ছিল? নিয়ম তো বলছে, এসব প্রকল্পে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো বাধ্যতামূলক।

.

বড়াইগ্রাম ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন শিশুর প্রাণ চলে গেছে, আরেকজন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করছেন।”

.

এদিকে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, নিহত শিশুর পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাবিখা প্রকল্পে নিয়মবহির্ভূত ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে আগে থেকেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় কেবল একটি প্রাণ হারায়নি, হারিয়েছে একটি পরিবার তার ভবিষ্যৎ।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগাতিপাড়ায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন

error: Content is protected !!

বড়াইগ্রামে কাবিখা প্রকল্পে মাটি চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যুঃ তদন্তে প্রশাসন, অভিযোগ দেননি পরিবার

আপডেট টাইম : ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
আমিরুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :

আমিরুল ইসলামঃ

 

নাটোরের বড়াইগ্রামের বাগডোব গড়িলা বিলে কাবিখা প্রকল্পের মাটি কাটার সময় ধসে পড়া গর্তে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে মোস্তাকিম আহমেদ (১০) নামে এক শিশু। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর শিশু সাকিব হোসেন (১২) এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

.

মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এলেও প্রশ্ন উঠছে—কেন ভেকু মেশিন দিয়ে কাবিখার কাজ করা হচ্ছিল? নিয়ম তো বলছে, এসব প্রকল্পে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো বাধ্যতামূলক।

.

বড়াইগ্রাম ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন শিশুর প্রাণ চলে গেছে, আরেকজন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করছেন।”

.

এদিকে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, নিহত শিশুর পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাবিখা প্রকল্পে নিয়মবহির্ভূত ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে আগে থেকেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় কেবল একটি প্রাণ হারায়নি, হারিয়েছে একটি পরিবার তার ভবিষ্যৎ।

 


প্রিন্ট