ঢাকা , সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

একই আবেদনের বিচার দু’জায়গায় চলতে পারেনাঃ -রেরা চেয়ারপার্সন 

মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ
ওয়েষ্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে একটি আবাসন মামলায় গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন উক্ত ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। ‘একই আবেদনের বিচার দুই জায়গায় চলতে পারেনা’ বলে আদেশনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
.
জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানা এলাকায় (পানিহাটি- কামারহাটি) ২১০০ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাটের জন্য প্রমোটার সংস্থা মেসার্স এম এস এন্টারপ্রাইজ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন দেবদত্ত চ্যাটার্জি এবং সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি। প্রমোটার সংস্থার অংশীদার রয়েছেন মিতা রায় ও পারভীন পন্ডিত। ২০১৫ সালে এই নির্মাণ কাজের চুক্তি হলেও প্রমোটার সংস্থাকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দেওয়া হয় ২০১৭ সালে।দুই বছরের মধ্যে ২১০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট (৩ টি) দেওয়ার চুক্তিপত্র থাকলেও তা পাননি বলে অভিযোগ দেবদত্ত চ্যাটার্জি এবং সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জির। শেষে জেলাস্তরের ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ জানান তারা।
.
আরো জানা যায়, পরবর্তীতে ১৬/০৯/২০ তারিখে সংশোধিত ডেভলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট ও ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে তিনটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল ২৪ মাসের মধ্যে। ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে মামলা হয় ২০২৩ সালে। ওয়েষ্ট বেঙ্গল রেগুলেটরি অথরিটিতে মামলা হয় ২০২৪ সালে। ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচ ১ লক্ষ সর্বমোট ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ চান। সেই সাথে প্রস্তাবিত জি প্লাস ৪ আবাসনে জি প্লাস ৫ হওয়ায় অতিরিক্ত ফ্ল্যাট দাবি করেন চ্যাটার্জি পরিবার।
.
এ পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত প্রমোটার সংস্থা মেসার্স এম এস এন্টারপ্রাইজ। তারা ট্রাইব্যুনালের কাছে দাবি রাখেন- ‘একই আবেদন দু জায়গায় রাখা হয়েছে’। দুই সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইব্যুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অর্ডার কপি উল্লেখ করে রায় দেন-‘ একই আবেদনের বিচার দু জায়গায় চলতে পারেনা ‘। কোন এক জায়গায় অভিযোগকারী আবাসন গ্রাহকদের যেতে হবে বলে জানা গেছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

একই আবেদনের বিচার দু’জায়গায় চলতে পারেনাঃ -রেরা চেয়ারপার্সন 

আপডেট টাইম : ৮ ঘন্টা আগে
মোল্লা জসিমউদ্দিন, কোলকাতা থেকে :
মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ
ওয়েষ্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে একটি আবাসন মামলায় গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন উক্ত ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। ‘একই আবেদনের বিচার দুই জায়গায় চলতে পারেনা’ বলে আদেশনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
.
জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানা এলাকায় (পানিহাটি- কামারহাটি) ২১০০ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাটের জন্য প্রমোটার সংস্থা মেসার্স এম এস এন্টারপ্রাইজ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন দেবদত্ত চ্যাটার্জি এবং সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি। প্রমোটার সংস্থার অংশীদার রয়েছেন মিতা রায় ও পারভীন পন্ডিত। ২০১৫ সালে এই নির্মাণ কাজের চুক্তি হলেও প্রমোটার সংস্থাকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দেওয়া হয় ২০১৭ সালে।দুই বছরের মধ্যে ২১০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট (৩ টি) দেওয়ার চুক্তিপত্র থাকলেও তা পাননি বলে অভিযোগ দেবদত্ত চ্যাটার্জি এবং সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জির। শেষে জেলাস্তরের ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ জানান তারা।
.
আরো জানা যায়, পরবর্তীতে ১৬/০৯/২০ তারিখে সংশোধিত ডেভলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট ও ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে তিনটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল ২৪ মাসের মধ্যে। ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে মামলা হয় ২০২৩ সালে। ওয়েষ্ট বেঙ্গল রেগুলেটরি অথরিটিতে মামলা হয় ২০২৪ সালে। ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচ ১ লক্ষ সর্বমোট ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ চান। সেই সাথে প্রস্তাবিত জি প্লাস ৪ আবাসনে জি প্লাস ৫ হওয়ায় অতিরিক্ত ফ্ল্যাট দাবি করেন চ্যাটার্জি পরিবার।
.
এ পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত প্রমোটার সংস্থা মেসার্স এম এস এন্টারপ্রাইজ। তারা ট্রাইব্যুনালের কাছে দাবি রাখেন- ‘একই আবেদন দু জায়গায় রাখা হয়েছে’। দুই সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইব্যুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অর্ডার কপি উল্লেখ করে রায় দেন-‘ একই আবেদনের বিচার দু জায়গায় চলতে পারেনা ‘। কোন এক জায়গায় অভিযোগকারী আবাসন গ্রাহকদের যেতে হবে বলে জানা গেছে।

প্রিন্ট