রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউপির বয়রাট গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলীর (৮৫) শুক্রবার ৩০ জুলাই বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বার্ধক্যজনিত রোগে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
জানা যায়, শুক্রবার আসরের নামাজের পর বয়রাট মাজাইল ফাযিল মাদরাসা প্রাঙ্গনে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলীর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আহম্মদ আলীর গার্ড অব অনার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের এএসআই খোন্দকার তুহিন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী ও পাংশা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার চাঁদ আলী খান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আহম্মদ আলীর কফিনে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সাবেক সহকারী এ্যাটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ, পাট্টা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রব (মোনা বিশ্বাস)সহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গার্ড অব অনার শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আহম্মদ আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, পাট্টা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রব (মোনা বিশ্বাস) ও বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাওছার আলী। পরিবারের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আহম্মদ আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য দেন সাবেক সহকারী এ্যাটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে সালাউদ্দিন আহমেদ ছন্টু, ফজলুল হক খান, শাহ মোঃ রবিউল ইসলাম (কুসুম), আব্দুস সোবাহান মাস্টার, লিয়াকত আলী খান, হাবিবুর রহমান খান, হবিবর রহমান, নূর মোহাম্মদ সুলতান, খোন্দকার মোকাররম হোসেন, জনাব আলী মন্ডল, ইউনুস আলী বিশ্বাসসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন বয়রাট মাজাইল ফাযিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস.এম কাওছার। জানাজার নামাজ শেষে বয়রাট মাজাইল কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
প্রিন্ট