ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল ! Logo গোপালগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন Logo নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন Logo বাঘার পদ্মায় ধরা পড়ছে বাঘাইড়, কপাল খুলছে জেলেদের Logo বালিয়াকান্দিতে স্পোর্টস একাডেমির উদ্যগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন Logo আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য কালুখালীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন Logo কালুখালীর ৮৪ কৃষান কিষানী পেল পুষ্টি বাগানের উপকরণ Logo বাঘায় রোটারি ক্লাব অফ মেট্রোপলিটনের শীত বস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা! Logo দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বয়স্ক নারীদের শীতবস্ত্র ও শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় আজ আরও ১১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত-১৪৯

করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় প্রথম কুষ্টিয়া। অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন করোনায় ও ২ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২২ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গত-দিনের চেয়ে কমে ২৮.৫৪ শতাংশ হয়েছে। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২৪৭ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত ৫৪০ জনের মৃত্যু হলো।

এই দিকে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ২০০’ বেডের অনুকূলে বর্তমানে হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছে ২০১ জন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৫১ জন। বাকীরা করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এছাড়া ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।

গত ৭ দিনে কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২শ ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্রামুজ্জামান মিন্টু বলেন, হাসপাতালে ২০০ শতাধিক পয়েন্টে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুল চালু রয়েছে। বেশি গুরুতর রোগীদের জন্য আলাদাভাবে পেয়িং ওয়ার্ডে রাখা হয়। ঈদ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রোগী বাড়লেও চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ভর্তির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় গত দুই মাসে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তবে আশা করা যাচ্ছে, এটা কমে যাবে। আর প্রায় সব মানুষই মৃদু সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য ঈদপরবর্তী আক্রান্তের হার কমতে পারে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল !

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় আজ আরও ১১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত-১৪৯

আপডেট টাইম : ১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় প্রথম কুষ্টিয়া। অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন করোনায় ও ২ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২২ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গত-দিনের চেয়ে কমে ২৮.৫৪ শতাংশ হয়েছে। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২৪৭ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত ৫৪০ জনের মৃত্যু হলো।

এই দিকে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ২০০’ বেডের অনুকূলে বর্তমানে হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছে ২০১ জন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৫১ জন। বাকীরা করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এছাড়া ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।

গত ৭ দিনে কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২শ ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্রামুজ্জামান মিন্টু বলেন, হাসপাতালে ২০০ শতাধিক পয়েন্টে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুল চালু রয়েছে। বেশি গুরুতর রোগীদের জন্য আলাদাভাবে পেয়িং ওয়ার্ডে রাখা হয়। ঈদ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রোগী বাড়লেও চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ভর্তির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় গত দুই মাসে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তবে আশা করা যাচ্ছে, এটা কমে যাবে। আর প্রায় সব মানুষই মৃদু সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য ঈদপরবর্তী আক্রান্তের হার কমতে পারে।


প্রিন্ট