নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুরঃ
ফরিদপুরের পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিনকে (৫১) আটক করে পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি এই আওয়ামী লীগ নেতার।
.
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮টার দিকে নাসিরউদ্দিনকে একটি মাইক্রোবাসে করে ফের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ বলছে, পালিয়ে গোপালগঞ্জে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাকে ধরে আনা হয়েছে। তবে তার পরিবারের দাবি, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন।
.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিরউদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে তার টিনের দোকান রয়েছে। সোমবার (১২ মে) দুপুরের দিকে দোকান থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
.
এর কয়েক ঘণ্টা মধ্যে তিনি থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পলাতক নাসিরউদ্দিনের বড় ভাই স্থানীয় বাকাইল মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
.
নাসিরউদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, আমার ভাই রাজনীতি করেন এটা ঠিক। কিন্তু তিনি কোনো মামলার আসামি নন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ভাইকে পুলিশ থানায় নেওয়ার পর তিনি ভয় পান এবং পালিয়ে যান। পরে আমার আরেক ভাইকে আটক করে পুলিশ। আমরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে থানায় আত্মসমর্পণ করার পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এখন তিনি থানায় আছেন।
.
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, নাসিরউদ্দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার তাকে আটকের পর থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।
.
তবে তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ থেকে পুলিশ তাকে ধরে এনেছে। তাকে বিস্ফোরক কিংবা অন্য কোনো আইনে গ্রেফতার দেখানো হবে তা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, নাসিরউদ্দিনের ভাই নবাব আলী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রিন্ট