ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উপেক্ষিত মা দিবস, প্রশ্নে বোয়ালমারী প্রশাসন

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

 

রোববার, ১১ মে আন্তর্জাতিক মা দিবস। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এই দিনে মা’কে স্মরণে নানা আয়োজন করা হয়—স্কুল, কলেজ, অফিস এমনকি প্রশাসনিক পর্যায়েও। কিন্তু ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।

.

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী এ দিবসটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন। বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি, তাই মা দিবস পালন করিনি। আপনি জানালেন ভালোই করলেন, দেখি কিছু করা যায় কি না!”

.

অথচ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দিবসটি উদযাপন সংক্রান্ত নির্দেশনা পূর্বেই জারি হয়েছিল বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড় “মা দিবস পালন না করাটা কি অবহেলা, না কি দায়িত্বে শৈথিল্য?”

.

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী জানান, “আমাদের কাছেও কোনো নির্দেশনা আসেনি। পেলে অবশ্যই দিবসটি পালন করতাম।”

.

প্রসঙ্গত, মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বের শতাধিক দেশে মা দিবস সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদযাপিত হয়। এমন একটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন দিনে সরকারি কর্মকর্তাদের এ ধরনের উদাসীনতা প্রশাসনিক দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৩জন গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

উপেক্ষিত মা দিবস, প্রশ্নে বোয়ালমারী প্রশাসন

আপডেট টাইম : ২৪ ঘন্টা আগে
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

 

রোববার, ১১ মে আন্তর্জাতিক মা দিবস। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এই দিনে মা’কে স্মরণে নানা আয়োজন করা হয়—স্কুল, কলেজ, অফিস এমনকি প্রশাসনিক পর্যায়েও। কিন্তু ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।

.

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী এ দিবসটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন। বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি, তাই মা দিবস পালন করিনি। আপনি জানালেন ভালোই করলেন, দেখি কিছু করা যায় কি না!”

.

অথচ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দিবসটি উদযাপন সংক্রান্ত নির্দেশনা পূর্বেই জারি হয়েছিল বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড় “মা দিবস পালন না করাটা কি অবহেলা, না কি দায়িত্বে শৈথিল্য?”

.

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী জানান, “আমাদের কাছেও কোনো নির্দেশনা আসেনি। পেলে অবশ্যই দিবসটি পালন করতাম।”

.

প্রসঙ্গত, মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বের শতাধিক দেশে মা দিবস সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদযাপিত হয়। এমন একটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন দিনে সরকারি কর্মকর্তাদের এ ধরনের উদাসীনতা প্রশাসনিক দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।


প্রিন্ট