আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে প্রভাবশালী মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রীকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
.
সরেজমিন দেখা গেছে, মাড়িয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাটির রাস্তা সংলগ্ন মসজিদ রয়েছে। আর মাটির রাস্তাটি বিলের দিকে নেমে গেছে।কিন্ত্ত হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে মিজানুর রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদের উত্তর দিকে মাটির রাস্তা খনন ও সরকারি রাস্তার দুটি আম গাছের চারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে রেখেছে।
.
এসময় সেখানে উপস্থিত বয়োজ্যেষ্ঠ আলিমুদ্দিন জানান, তার প্রকৃত বাড়ি বাগমারায়,তিনি বিগত ৪০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। সে সময় থেকেই এই রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাফেরা করে আসছে এবং বিলের জমি থেকে ফসল গাড়িতে করে তুলে নিয়ে আসেন। কিন্তু হঠাৎ করেই মিজান বলছে এসব তার জায়গা, কিন্তু কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে না। বয়োজ্যেষ্ঠ রিয়াজ উদ্দিন জানান, তার জন্মের আগে থেকেই এটি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। পুর্ব দিকের বিলে যাওয়ার রাস্তা আতাউরের ব্যক্তিগত। তারপরও সে কখনো বাধা দেয় না। মিজানের বাড়ির পশ্চিম দিকে মাটির মসজিদ রয়েছে। মসজিদে যাতে আমরা নামাজ না পড়তে পারি এজন্য বাথরুমের হাউজ খুলে রেখেছে। এটা কোন মানুষের কাজ হতে পারে না।
.
এছাড়াও জিল্লুর, জিয়াউর রহমানসহ অনেকে জানান, এখন বিলের জমি থেকে পুরোদমে বোরো কাটা ধান তুলছে। অথচ হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে রাস্তা খনন করেছে মিজান।রাস্তা খনন করার কারনে ধান বোঝায় গাড়ি উলটে গিয়ে এক শ্রমিকের পা ভেঙে গেছে। সে আর কাজ করতে পারছে না। মিজান তার স্ত্রী ও তার ভাই জিয়ার ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। তাদের ভয়ে পাড়ার লোকজন মসজিদে নামাজ পড়তে যায় না।
.
গত শনিবার গ্রামের মতবরগণ উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে জায়গা মাপজোক করেন। সালিশ বৈঠকে বসে জায়গা মাপজোক ও সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি মারা হয়। কিন্ত্ত লোকজন চলে যাবার পর মিজান ও জিয়া খুঁটি তুলে ফেলে।অথচ আতাউরের ব্যক্তিগত জায়গা দিয়ে চলাচল করা হয়। সে যদি এসব করত তাহলে মানা যায়। কিন্তু আতাউরের কোন সমস্যা না হলেও মিজানরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে।
প্রিন্ট