আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(বিএমডিএ) একটি গভীর নলকুপ অপারেটরের নানামুখী অনিয়ম-দুর্নীতি ও দৌরাত্ম্যে কৃষকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এদিকে স্কিম ভুক্ত কৃষকেরা অপারেটরের অপসারণ ও কৃষকদের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগের দাবি করেছেন।
.
জানা গেছে,তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ৭৯, মৌজা গুড়ইল কৃষ্ণপুর ও ৩৮৬ নম্বর দাগে স্থাপিত গভীর নলকূপের অপারেটর আরিফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে আউশ ও বোরো চাষে জমিতে নিয়মিত সেচ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, অপারেটরের দৌরাত্ম্যের কারণে অনেকের জমিতে ফসলহানি হয়েছে।
.
গভীর নলকূপ স্কিমের কৃষক, আব্দুল্লাহ আল কাফি, রাকিব হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম, রুহুল কাজী ও কাওছার আলীসহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, টাকার প্রভাব খাটিয়ে গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ পেয়ে, স্কিমের প্রায় ৩শ’ বিঘা জমিতে সেচ দেয়ার জন্য, বিঘা প্রতি ৫শ’ টাকা করে খরচ নিয়েছে। যাহার পরিমান প্রায় দেড় লাখ টাকা। কৃষকগণ আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেক কৃষক নিজ, নিজ সেচ কার্ড রিচার্জ করে জমিতে সেচ নিচ্ছেন। কিন্তু অপারেটর আরিফুল ইসলাম আর্থিক সুবিধা নিয়ে কোনো সিরিয়াল মেইন্টেন না করে আগে তার পছন্দের কৃষকদের জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
.
এছাড়াও খরচ বাবদ বিঘা প্রতি ৫শ’ টাকা দেওয়ার পরেও যে সকল কৃষক লাইনম্যানের নামে অতিরিক্ত নগদ অর্থ দিচ্ছেন না, তাদের জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে না। এতে সেচের অভাবে জমি শুকিয়ে ফসল মরে যাচ্ছে। কৃষকেরা বলেন, তানোর বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অপারেটর আরিফুল ইসলাম এসব অপকর্ম করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
.
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর আরিফুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কিছু ব্যক্তি অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট