আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী কাটাখাল এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা গেছেন শহীদ ফকির (৪৭) নামে এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃক পরিচালিত ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শহীদ ফকির পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। তিনি বিবাহিত এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুকুল মিনার গ্রুপ এবং ময়েনদিয়া বাজারের মান্নান মাতুব্বরের গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির সংঘটিত হয়। এতে উভয় পক্ষের দশ জন আহত হয়। তাদের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা। আহতদের মধ্যে শহীদ ফকির গুরুত্ব হলে তাকে ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় । পরে সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শহীদ ফকির ৭ নং পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল মিনা’র সমর্থক ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনাদি রঞ্জন মন্ডল বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে শহীদ ফকিরের পায়ের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল এছাড়া তার পেটেও ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই তিনি ফরিদপুর ট্রমা সেন্টারে মারা যান।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মো. নুরুল আলম জানান, সকালে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুকুল মিনার গ্রুপ এবং ময়েনদিয়া বাজারের মান্নান মাতুব্বরের গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির সংঘটিত হয়।এতে কয়েক জন আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, শুনেছি সন্ধ্যার পর আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মারা গেছেন। আমরা পরমেশ্বরদী কাটাখাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রেখেছি, অপ্রিতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য।
প্রিন্ট