ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ‌ অবস্থান কর্মসূচি ‌ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ভুয়া মেজর পরিচয়দানকারী ‌ আমিনুল ইসলাম আপন গ্রেফতার Logo মুকসুদপুরে ট্রাকের ধাক্কায় নসিমন চালক নিহত Logo মুকসুদপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাবির মিয়া ঢাকায় গ্রেফতার Logo হাতিয়ায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ Logo পাংশা সার্কেলের এএসপিকে বৈশাখী কবিতা পরিষদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা Logo গোদাগাড়ী সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দুদকের হানা, নথিপত্র তলব Logo পাংশায় আম পাড়া নিয়ে শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা Logo সদরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ Logo সন্তান জন্মের প্রায় দুইমাস পর তথ্য গোপন করে মাতৃত্ব ছুটি নেওয়ার অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরের সালথায় দলে না ভিড়লেই নির্যাতন, মুক্তি চায় এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে চর বাংরাইল গ্রামে হামলা ও নির্যাতনের ভয়ে অন্তত ২০পরিবারের অনেক সদস্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানববন্ধন করে ওই সকল পরিবারের সদস্যরা, কোনো ধরনের এলাকা ভিত্তিক দলপক্ষ না করে স্বাধীনভাবে বসবাসের আকুতি জানিয়েছেন।

.

বুধবার দুপুরে সালথা উপজেলার চর বাংরাইল গ্রামে দুই শতাধিক নারী পুরুষের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন, সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহিদ হাসান লাভলু’র পক্ষে মিশে গিয়ে, তার হয়ে গ্রাম্য রাজনীতিতে অংশগ্রহনের চাপ প্রয়োগ করেন তার (লাভলু) অনুসারীরা। এতে রাজি না হওয়ায় ০৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে গৃহবধু শিল্পী বেগমকে মারধর করে। এসময় তার কোলে থাকা দুই বছরের শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়।

.

এর আগে গত ২৯ মার্চ একই অভিযোগ, দলে যোগ দিতে সম্মত না হওয়ায় প্রতিপক্ষের অর্ধশত মানুষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় অন্তত ২০টি বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া কয়েক দিনে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আরো অন্তত পাঁচজনকে আহত করা হয়।

.

তারা দাবী করেন, ওই বিএনপি নেতা জনৈক যুবলীগ নেতাকে দলে ভিড়িয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে, সাধারণ মানুষ যারা কোনো ধরনের দলপক্ষ বা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের জোর পুর্বক নিজ পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ পক্ষে যেতে রাজি না হলেই তালে টার্গেট করে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। হুমকী ধামকী ছাড়াও হামলা এমনকি মামলায় জড়িয়েও হয়রানী করা হচ্ছে বলেও দাবী তাদের।

.

তারা কোনো ধরণের দল পক্ষ না করে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করার সুযোগ দাবী করেন। এসময় তারা আরো দাবী করেন, ওই বিএনপি নেতার পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়ীঘরে লুটপাট করলেও উল্টো মামলা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদেরই হয়রানি করা হচ্ছে। মানববন্ধনকারীরা বলেন, যে কোনো সময় আবারো হামলার শংকায় রয়েছেন তারা।

.

যদিও এ অভিযোগ অস্বিকার করে সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহিদ হাসান লাভলু জানান, স্থানীয় দুটি পক্ষ মারামারি করেছে, সেখানে আমার কোনো যোগসুত্র নেই। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি তো কোনো দলপক্ষই করিনা, তাই কাউকে দলে টানতেও চাইনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ বা যুবলীগের কাউকে দলে ভেড়ানোর প্রশ্নই আসেনা। তিনি আরো বলেন, এলাকায় শান্তি রক্ষায় কাজ করছি।

.

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান জানান, স্থানীয় দুই পক্ষই পামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাই উভয় পক্ষের থেকেই মামলা রুজু হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সালথা অঞ্চলে স্থাণীয় দল-পক্ষের প্রথার প্রচলন রয়েছে। প্রতিনিয়িত এসবের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে মানুষকে দলপক্ষ নিয়ে কাইজ্যা বা মারামারি থেকে বিরত থাকতে অপুপ্রেরণা দেয়া হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন আর আগের মতো মারামারি হয় না। তবে চর বাংরাইল গ্রামের ঘটনায় শান্তি রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে এবং করবে বলে জানান জানান তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ‌ অবস্থান কর্মসূচি ‌ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

ফরিদপুরের সালথায় দলে না ভিড়লেই নির্যাতন, মুক্তি চায় এলাকাবাসী

আপডেট টাইম : ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি :

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে চর বাংরাইল গ্রামে হামলা ও নির্যাতনের ভয়ে অন্তত ২০পরিবারের অনেক সদস্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানববন্ধন করে ওই সকল পরিবারের সদস্যরা, কোনো ধরনের এলাকা ভিত্তিক দলপক্ষ না করে স্বাধীনভাবে বসবাসের আকুতি জানিয়েছেন।

.

বুধবার দুপুরে সালথা উপজেলার চর বাংরাইল গ্রামে দুই শতাধিক নারী পুরুষের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন, সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহিদ হাসান লাভলু’র পক্ষে মিশে গিয়ে, তার হয়ে গ্রাম্য রাজনীতিতে অংশগ্রহনের চাপ প্রয়োগ করেন তার (লাভলু) অনুসারীরা। এতে রাজি না হওয়ায় ০৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে গৃহবধু শিল্পী বেগমকে মারধর করে। এসময় তার কোলে থাকা দুই বছরের শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়।

.

এর আগে গত ২৯ মার্চ একই অভিযোগ, দলে যোগ দিতে সম্মত না হওয়ায় প্রতিপক্ষের অর্ধশত মানুষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় অন্তত ২০টি বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া কয়েক দিনে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আরো অন্তত পাঁচজনকে আহত করা হয়।

.

তারা দাবী করেন, ওই বিএনপি নেতা জনৈক যুবলীগ নেতাকে দলে ভিড়িয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে, সাধারণ মানুষ যারা কোনো ধরনের দলপক্ষ বা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের জোর পুর্বক নিজ পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ পক্ষে যেতে রাজি না হলেই তালে টার্গেট করে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। হুমকী ধামকী ছাড়াও হামলা এমনকি মামলায় জড়িয়েও হয়রানী করা হচ্ছে বলেও দাবী তাদের।

.

তারা কোনো ধরণের দল পক্ষ না করে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করার সুযোগ দাবী করেন। এসময় তারা আরো দাবী করেন, ওই বিএনপি নেতার পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়ীঘরে লুটপাট করলেও উল্টো মামলা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদেরই হয়রানি করা হচ্ছে। মানববন্ধনকারীরা বলেন, যে কোনো সময় আবারো হামলার শংকায় রয়েছেন তারা।

.

যদিও এ অভিযোগ অস্বিকার করে সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহিদ হাসান লাভলু জানান, স্থানীয় দুটি পক্ষ মারামারি করেছে, সেখানে আমার কোনো যোগসুত্র নেই। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি তো কোনো দলপক্ষই করিনা, তাই কাউকে দলে টানতেও চাইনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ বা যুবলীগের কাউকে দলে ভেড়ানোর প্রশ্নই আসেনা। তিনি আরো বলেন, এলাকায় শান্তি রক্ষায় কাজ করছি।

.

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান জানান, স্থানীয় দুই পক্ষই পামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাই উভয় পক্ষের থেকেই মামলা রুজু হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সালথা অঞ্চলে স্থাণীয় দল-পক্ষের প্রথার প্রচলন রয়েছে। প্রতিনিয়িত এসবের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে মানুষকে দলপক্ষ নিয়ে কাইজ্যা বা মারামারি থেকে বিরত থাকতে অপুপ্রেরণা দেয়া হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন আর আগের মতো মারামারি হয় না। তবে চর বাংরাইল গ্রামের ঘটনায় শান্তি রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে এবং করবে বলে জানান জানান তিনি।


প্রিন্ট