মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীনঃ
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ, পরিশ্রম ও দিকনির্দেশনায় গোপালগঞ্জ পৌরসভার অচল পানির প্লান্ট সচল হয়েছে।
.
জানাগেছে পানির এই ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল এবং হঠাৎ বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার পুড়ে গিয়ে প্লান্টটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২ টায় পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত পানি শোধনাগার প্লান্টটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং পৌরবাসীর চাহিদামত নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ রাখার জন্য পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনা ও পরামর্শমতে কার্যক্রম গ্রহনের ফলে, গোপালগঞ্জ পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত পানির ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আবারো সচল হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ আশা করছে খুব শীঘ্রই উক্ত পানি শোধনাগার থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পৌরবাসীদের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
.
এ সময় গোপালগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ কুমার পাল, গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফয়েজ আহমেদ, গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান, পৌরসভার তত্ত্বাবধায়ক (পানি সরবরাহ) সৌরভ বোস, পৌর প্রশাসকের ব্যক্তিগত সহকারী মাহফুজুর রহমান লাবলু সহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।।
.
পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ পৌরবাসীর পানি সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ও নুতন সম্প্রসারিত ০১, ০২, ০৩, ১৪, ও ১৫ নং ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন ও পানির সরবরাহ বাড়ানোর জন্য গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন।
.
পৌর নিবার্হী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত গোপালগঞ্জ পৌরসভার পানি শোধনাগার প্লান্ট ও সরবরাহ লাইনের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগে অনুমোদনের জন্য রয়েছে। উক্ত প্রকল্পের অনুমোদন হয়ে বাস্তবায়িত হলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
.
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের আহব্বানে সাঁড়া দিয়ে সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক পরিশ্রম করে গোপালগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করায় জেলা প্রশাসকের পতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পৌরসভার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
.
উল্লেখ্য, এর আগে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বিশ্বজিৎ কুমার পাল পানির প্লান্টের সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয় জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেন।
প্রিন্ট