ঢাকা , সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’ Logo ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু Logo সালথায় যুবদল নেতার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মাদক সেবীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিক পেটালেন যুবদল নেতা গেন্দা Logo সদরপুরে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় আত্মহত্যা Logo দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ২০২৫ নামাজের জামাত উপলক্ষে ব্রিফিং Logo ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কীটনাশক পান করে গৃহবধুর আত্মহত্যা Logo পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শরীফ উদ্দিন Logo বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামের বাসিন্দারা আজ উদযাপন করলেন ঈদুল ফিতর Logo মানবিক হাতিয়া সংগঠনের উদ্যোগে মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রুগ্ন গরু কিনে বেকায়দায় ক্রেতা

বাঘায় পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

 

রাজশাহীর বাঘায় উপজেলার দুটি পশু বেচা কেনার হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় সহ রুগ্ন পশু হাটে নিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ছাড়পত্রে পশু ক্রেতা-বিক্রেতার নাম ঠিকানা, বিক্রিত পশুর মূল্যে দেওয়া থাকলেও আদায়কৃত টোলের (খাজনা) টাকার পরিমান দেওয়া নাই।

.

আলাপচারিতায় রসিকতার সাথে কয়েকজন বললেন, গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতাদের জিম্মি করে ৮০০ টাকা করে টোল আদায় করছেন। ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া হয় ১০০ টাকা করে। অভিযোগ করেও এর সুফল মেলেনি কোন দিনও।

.

শুক্রবার (২৮-০৩-২০২৫) বাঘা পৌরসভার চন্ডিপুর পশুহাটে রুগ্ন পশু বিক্রির খবরে বিকেল সাড়ে ৫টায় গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেল। সেখানে গিয়ে দেখা গেল ছোট আকারের লাল রঙের একটি গরু মৃতপ্রায় অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।

.

কথা হলে লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের সান্টু জানান, তিনি একই উপজেলার চিনি বটতলার সাগর নামের একজনের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছেন। এর মধ্যে নগদ ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাঁকি টাকা কয়েকদিন পরে দেওয়ার শর্তে বিক্রেতা সাগর তার কাছে গরু বিক্রি করে চলে গেছেন। খাজনা (টোল) দিতে হয়েছে ১ হাজার টাকা। পরে তার (সান্টু) কেনা গরু বাড়িতে নিতে পারেননি।

.

তার ভাষ্য, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ছল চাতুরি করে রুগ্ন গরু তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তার কাছে থাকা ছাড় পত্রে দেখা গেছে, গরুটির মুল্যে ২৫ হাজার টাকা লেখা থাকলেও টোল (খাজনা) আদায়ের টাকার পরিমান লেখা নাই।

.

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পশু হাট ইজাদার সাইফুল ইসলাম (টগর) জানান, আগে থেকেই গরু প্রতি ৭০০শ’ টাকা করে নিচ্ছেন। তার দাবি, এর বেশি নিলে তার লোকজন ঈদের বোনাস হিসেবে হয়তো নিতে পারে। বিক্রেতা সাগরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। একই অবস্থার কথা জানা গেছে আড়ানির রুস্তমপুর পশু হাটেও।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’

error: Content is protected !!

রুগ্ন গরু কিনে বেকায়দায় ক্রেতা

বাঘায় পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

 

রাজশাহীর বাঘায় উপজেলার দুটি পশু বেচা কেনার হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় সহ রুগ্ন পশু হাটে নিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ছাড়পত্রে পশু ক্রেতা-বিক্রেতার নাম ঠিকানা, বিক্রিত পশুর মূল্যে দেওয়া থাকলেও আদায়কৃত টোলের (খাজনা) টাকার পরিমান দেওয়া নাই।

.

আলাপচারিতায় রসিকতার সাথে কয়েকজন বললেন, গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতাদের জিম্মি করে ৮০০ টাকা করে টোল আদায় করছেন। ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া হয় ১০০ টাকা করে। অভিযোগ করেও এর সুফল মেলেনি কোন দিনও।

.

শুক্রবার (২৮-০৩-২০২৫) বাঘা পৌরসভার চন্ডিপুর পশুহাটে রুগ্ন পশু বিক্রির খবরে বিকেল সাড়ে ৫টায় গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেল। সেখানে গিয়ে দেখা গেল ছোট আকারের লাল রঙের একটি গরু মৃতপ্রায় অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।

.

কথা হলে লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের সান্টু জানান, তিনি একই উপজেলার চিনি বটতলার সাগর নামের একজনের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছেন। এর মধ্যে নগদ ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাঁকি টাকা কয়েকদিন পরে দেওয়ার শর্তে বিক্রেতা সাগর তার কাছে গরু বিক্রি করে চলে গেছেন। খাজনা (টোল) দিতে হয়েছে ১ হাজার টাকা। পরে তার (সান্টু) কেনা গরু বাড়িতে নিতে পারেননি।

.

তার ভাষ্য, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ছল চাতুরি করে রুগ্ন গরু তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তার কাছে থাকা ছাড় পত্রে দেখা গেছে, গরুটির মুল্যে ২৫ হাজার টাকা লেখা থাকলেও টোল (খাজনা) আদায়ের টাকার পরিমান লেখা নাই।

.

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পশু হাট ইজাদার সাইফুল ইসলাম (টগর) জানান, আগে থেকেই গরু প্রতি ৭০০শ’ টাকা করে নিচ্ছেন। তার দাবি, এর বেশি নিলে তার লোকজন ঈদের বোনাস হিসেবে হয়তো নিতে পারে। বিক্রেতা সাগরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। একই অবস্থার কথা জানা গেছে আড়ানির রুস্তমপুর পশু হাটেও।


প্রিন্ট