ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি আবরারের মায়ের

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহালের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর ও পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।

 

আজ রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দি‌কে কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

 

এ সময় তি‌নি বলেন, দীর্ঘ ছয় বছ‌র পরও এদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থে‌কে দূরে সরে যান‌নি। এ জন‌্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ কর‌ছি। এখন চাওয়া এই রায় যেন দ্রুত কার্যকরী হয়। এই রায় কার্যকরী হলে ভ‌বিষ‌্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।

 

এ দিকে আবরার ফাহাদের স্বজনরাও রায়ে সন্তু‌ষ্টি জা‌নি‌য়ে দ্রুত কার্যকরের দা‌বি জা‌নিয়েছেন।

 

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন আবরারের বাবারায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন আবরারের বাবা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং ফারাক্কার পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামা।

 

২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন।

 

আবরার কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।

 

পড়াশোনা চালাকালে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি আবরারের মায়ের

আপডেট টাইম : ১২ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হোসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহালের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর ও পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।

 

আজ রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দি‌কে কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

 

এ সময় তি‌নি বলেন, দীর্ঘ ছয় বছ‌র পরও এদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থে‌কে দূরে সরে যান‌নি। এ জন‌্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ কর‌ছি। এখন চাওয়া এই রায় যেন দ্রুত কার্যকরী হয়। এই রায় কার্যকরী হলে ভ‌বিষ‌্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।

 

এ দিকে আবরার ফাহাদের স্বজনরাও রায়ে সন্তু‌ষ্টি জা‌নি‌য়ে দ্রুত কার্যকরের দা‌বি জা‌নিয়েছেন।

 

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন আবরারের বাবারায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন আবরারের বাবা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং ফারাক্কার পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামা।

 

২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন।

 

আবরার কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।

 

পড়াশোনা চালাকালে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


প্রিন্ট