ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে পুকুর ভরাট জনমনে ক্ষোভ ! Logo বরিশাল বিভাগ ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল Logo অসুস্থ কন্যার চিকিৎসার জন্য সর্বস্তরের জনগণের কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন পিতা Logo সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন Logo রাজশাহীর কেশরহাটে পৌর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল Logo জেনারেল এগ্রোভিট কোম্পানীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার প্রতিবাদে প্রকৃত মালিকের সাংবাদিক সম্মেলন Logo সালথায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ Logo কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, লালপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা Logo বাঘায় শাহদৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এজলাসে আসামির হাতে হাতকড়া পরানোর বিধান নেই :ইনু

পুলিশের সঙ্গে ইনু-জর্জের হট্টগোল

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ার আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ (জর্জ)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে তারা কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হাজির হন। এ সময় তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে ইনুসহ দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

তবে কাঠগড়ায় জামিন শুনানির আগে ঘটে যায় অন্যরকম এক কাণ্ড। আদালতের কাঠগড়ায় হাতকড়া পরিয়ে তোলা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান হাসানুল হক ইনু ও তার আইনজীবীরা। এ নিয়ে এজলাসে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

 

এ সময় উচ্চস্বরে ইনু বলেন, “এজলাসে আসামির হাতে হাতকড়া পরানোর বিধান নেই।”

 

আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও একযোগে হাতকড়া পরানোর বিষয়ে আপত্তি তোলেন ও তা খুলে দিতে বলেন। এ সময় দায়িত্বরত কোর্ট ইন্সপেক্টর জহুরুল আলম হাতকড়া খোলার বিষয়ে আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, “এমন কিছু হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।”

 

এক পর্যায়ে খাস কামরায় থাকা ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা তাদের হাতের হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে ইনুর হাতে হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এ বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

প্রায় আধাঘণ্টা জামিন শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, “খোদ এজলাসে হাসানুল হক ইনু এবং ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের হাতে হাতকড়া পরানো বেআইনি। বিষয়টি নিয়ে আদালতকে আপত্তি জানিয়েছি। এটি খুবই দুঃখজনক।” পরে আদালত তাদের হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

 

অবশ্য হাতকড়া পরানোর বিষয়ে কুষ্টিয়া জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আদালতে আসামিদের হাতে হাতকড়া পরানো বেআইনি নয়। কারণ আসামিরা পালিয়ে যেতে পারেন। হাসানুল হক ইনু এবং ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ হাতকড়া খুলে দেওয়ার যে দাবি তুলেছেন তা অযৌক্তিক।”

 

আদালত সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্রবিপ্লবের দিন কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। মামলায় ৬৪ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ৩৭ এবং ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ৩৩ নাম্বার আসামি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে পুকুর ভরাট জনমনে ক্ষোভ !

error: Content is protected !!

এজলাসে আসামির হাতে হাতকড়া পরানোর বিধান নেই :ইনু

পুলিশের সঙ্গে ইনু-জর্জের হট্টগোল

আপডেট টাইম : ১২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ার আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ (জর্জ)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে তারা কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হাজির হন। এ সময় তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে ইনুসহ দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

তবে কাঠগড়ায় জামিন শুনানির আগে ঘটে যায় অন্যরকম এক কাণ্ড। আদালতের কাঠগড়ায় হাতকড়া পরিয়ে তোলা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান হাসানুল হক ইনু ও তার আইনজীবীরা। এ নিয়ে এজলাসে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

 

এ সময় উচ্চস্বরে ইনু বলেন, “এজলাসে আসামির হাতে হাতকড়া পরানোর বিধান নেই।”

 

আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও একযোগে হাতকড়া পরানোর বিষয়ে আপত্তি তোলেন ও তা খুলে দিতে বলেন। এ সময় দায়িত্বরত কোর্ট ইন্সপেক্টর জহুরুল আলম হাতকড়া খোলার বিষয়ে আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, “এমন কিছু হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।”

 

এক পর্যায়ে খাস কামরায় থাকা ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা তাদের হাতের হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে ইনুর হাতে হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এ বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

প্রায় আধাঘণ্টা জামিন শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, “খোদ এজলাসে হাসানুল হক ইনু এবং ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের হাতে হাতকড়া পরানো বেআইনি। বিষয়টি নিয়ে আদালতকে আপত্তি জানিয়েছি। এটি খুবই দুঃখজনক।” পরে আদালত তাদের হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

 

অবশ্য হাতকড়া পরানোর বিষয়ে কুষ্টিয়া জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আদালতে আসামিদের হাতে হাতকড়া পরানো বেআইনি নয়। কারণ আসামিরা পালিয়ে যেতে পারেন। হাসানুল হক ইনু এবং ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ হাতকড়া খুলে দেওয়ার যে দাবি তুলেছেন তা অযৌক্তিক।”

 

আদালত সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্রবিপ্লবের দিন কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। মামলায় ৬৪ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ৩৭ এবং ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ৩৩ নাম্বার আসামি।


প্রিন্ট