ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় ৪০ দেশি শালিক পাখি উদ্ধার Logo অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পেলো দুদকঃ হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার ঢালাইয়ের পিচ Logo e-Paper-13.05.2025 Logo লালপুরের গোপালপুরে রেলগেটম্যানকে মারধরের ঘটনায় মামলা Logo লালপুরে নারী সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার সিডিএ কর্মকর্তা বরখাস্ত Logo নলছিটিতে এক দশকের ভোগান্তি শেষে শুরু হলো রাস্তায় ইউনিব্লক নির্মাণ Logo বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান Logo চরভদ্রাসনে ভুবনেশ্বর নদ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগ Logo আমাদের রবীন্দ্র চর্চা বাড়াতে হবেঃ অর্দ্ধেন্দু প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় Logo শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবেঃ -অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জালিয়াতচক্রের হোতা শামিম আটক

বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীকে জাল ভ্রমণকর সরবরাহ

কাজী নূরঃ

 

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী এক কলেজ পড়ুয়া পাসপোর্টযাত্রীকে জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চক্রের মূল হোতা শামীম হোসেনকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা দুইটার সময় কাস্টমস ও এপিবিএন পুলিশ যৌথভাবে জাল ভ্রমণকরসহ তাকে আটক করে। পরে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক শামিম বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের স্বর্ণ চোরাচালানি মোমিন চৌধুরীর ছেলে। এর আগেও সে ভ্রমণকর জালিয়াতির কারনে দুইবার পুলিশের হাতে আটক হয়। জামিন পেয়ে আবারও ফিরে একই কাজে জড়িত হয়। তার পিতা মোমিন চৌধুরী স্বর্ণ পাচার করে একাধিকবার জেল খেটেছে। সেও বর্তমানে জামিনে আছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক বেলাল আহমেদ (পাসপোর্ট নং-ঞ-৪৩৩৭০১২) বাংলাদেশে ঢাকার আশিয়ান নামে একটি মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করে। ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে সে চেকপোস্টের সাদীপুর সড়কে অবস্থিত ট্রাভেল পয়েন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সরকারি ভ্রমন কর অনলাইনে জমা দেন। এরপর সে নিজ দেশ ভারতে যাওয়ার সময় কাস্টমস চেকপয়েন্টে তার ভ্রমণকর রশিদ জাল বলে প্রমানিত হয়।

 

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত এপিবিএন পুলিশের পরিদর্শক সন্তুু বিশ্বাস দৈনিক ‘সময়ের প্রত্যাশা’ বলেন, ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল টার্মিনালে কাস্টমস এর তল্লাশি পয়েন্টে ওই যাত্রীর ভ্রমণকর চেকিং করার সময় রশিদটি জাল প্রমানিত হয়। পরে কোথায় এই ভ্রমণকর জমা দেওয়া হয়েছে যাত্রীকে সাথে নিয়ে সনাক্ত করা হয়। যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্টে অবস্থিত ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান এবং ভ্রমণ কর জালিয়াতির প্রধান শামিমকে সনাক্ত করে। জেরা করার এক পর্যায়ে শামিম বিষয়টি স্বীকার করে।

 

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গনি বলেন, আমরা জাল ভ্রমণকরের রশিদ সনাক্ত করার জন্য সচেতন। আমাদের দুইজন সহকর্মী সব সময় ভ্রমণকরের রশিদ চেকিং করে থাকেন।

 

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শামিম হোসেন নামে একজন যুবককে কাস্টমস এবং এপিবিএন পুলিশ একজন যাত্রীকে জাল ভ্রমণকর রশিদ সরবরাহ করার অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়েছে। তবে শামিমের নামে আগেও বেনাপোল বন্দর থানায় ভ্রমণকর জালিয়াতির দুটি মামলা রয়েছে। সে জামিনে এসে আবারও এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

কুষ্টিয়ায় ৪০ দেশি শালিক পাখি উদ্ধার

error: Content is protected !!

জালিয়াতচক্রের হোতা শামিম আটক

বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীকে জাল ভ্রমণকর সরবরাহ

আপডেট টাইম : ১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

কাজী নূরঃ

 

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী এক কলেজ পড়ুয়া পাসপোর্টযাত্রীকে জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চক্রের মূল হোতা শামীম হোসেনকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা দুইটার সময় কাস্টমস ও এপিবিএন পুলিশ যৌথভাবে জাল ভ্রমণকরসহ তাকে আটক করে। পরে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক শামিম বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের স্বর্ণ চোরাচালানি মোমিন চৌধুরীর ছেলে। এর আগেও সে ভ্রমণকর জালিয়াতির কারনে দুইবার পুলিশের হাতে আটক হয়। জামিন পেয়ে আবারও ফিরে একই কাজে জড়িত হয়। তার পিতা মোমিন চৌধুরী স্বর্ণ পাচার করে একাধিকবার জেল খেটেছে। সেও বর্তমানে জামিনে আছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক বেলাল আহমেদ (পাসপোর্ট নং-ঞ-৪৩৩৭০১২) বাংলাদেশে ঢাকার আশিয়ান নামে একটি মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করে। ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে সে চেকপোস্টের সাদীপুর সড়কে অবস্থিত ট্রাভেল পয়েন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সরকারি ভ্রমন কর অনলাইনে জমা দেন। এরপর সে নিজ দেশ ভারতে যাওয়ার সময় কাস্টমস চেকপয়েন্টে তার ভ্রমণকর রশিদ জাল বলে প্রমানিত হয়।

 

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত এপিবিএন পুলিশের পরিদর্শক সন্তুু বিশ্বাস দৈনিক ‘সময়ের প্রত্যাশা’ বলেন, ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল টার্মিনালে কাস্টমস এর তল্লাশি পয়েন্টে ওই যাত্রীর ভ্রমণকর চেকিং করার সময় রশিদটি জাল প্রমানিত হয়। পরে কোথায় এই ভ্রমণকর জমা দেওয়া হয়েছে যাত্রীকে সাথে নিয়ে সনাক্ত করা হয়। যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্টে অবস্থিত ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান এবং ভ্রমণ কর জালিয়াতির প্রধান শামিমকে সনাক্ত করে। জেরা করার এক পর্যায়ে শামিম বিষয়টি স্বীকার করে।

 

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গনি বলেন, আমরা জাল ভ্রমণকরের রশিদ সনাক্ত করার জন্য সচেতন। আমাদের দুইজন সহকর্মী সব সময় ভ্রমণকরের রশিদ চেকিং করে থাকেন।

 

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শামিম হোসেন নামে একজন যুবককে কাস্টমস এবং এপিবিএন পুলিশ একজন যাত্রীকে জাল ভ্রমণকর রশিদ সরবরাহ করার অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়েছে। তবে শামিমের নামে আগেও বেনাপোল বন্দর থানায় ভ্রমণকর জালিয়াতির দুটি মামলা রয়েছে। সে জামিনে এসে আবারও এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে।


প্রিন্ট