মহম্মদপুরের লক্ষ্মী রানীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠন।
স্বামী পরিত্যক্ত লক্ষ্মী রানীর ঠাঁই হয়েছিল বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া ১০ শতাংশ জমিতে। সেখানে কোনোরকমে ছাপড়াঘর বানিয়ে দুই যুগের অধিক সময় একাকি অসহায় জীবন-যাপন করে আসছেন।
প্রতিবেশী লক্ষণ সরকার ছাড়া এতদিনে তিনি কারোর সহযোগিতা পাননি। সময়ের প্রত্যাশা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর লক্ষ্মী রানীর দুরবস্থার কথা জেনে গতকাল দুপুরে ইউএনও রামানন্দ পাল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন, ইউপি চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ ও প্রবাসী অনলাইন সংগঠন (প্রবাসী বন্ধু) চাল, ডাল, তেল, লবণ, নগদ টাকা, রকমারি ফলমূলসহ কাপড়-চোপড় নিয়ে হাজির হয়েছেন তার জীর্ণ কুটিরে।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ তাকে অল্প সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন।
গতকাল লক্ষ্মী রানী হাসি মুখে বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, নুনে আমার ঘর ভরে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমারে ঘরও করে দিবি বলে চিয়ারমেন কয়ে গেছে।’
ইউএনও রামানন্দ পাল বলেন, ‘লক্ষ্মী রানীর বিষয়টি খুব হৃদয়স্পর্শী। আমি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছি এবং দ্রুত তার আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রিন্ট